লন্ডন: মঙ্গলবার, ১৮ই পৌষ ১৪২৩।। হেম্পস্টিড এবং কিলবর্ণ থেকে নবনির্বচিত কেমডেনের এমপি টিউলিপ সিদ্দীক তার বর্ষ শেষের বক্তব্যে ‘কিলবর্ণ’ মহাসড়কে গুলির বিষয়ে গভীর দুঃখ প্রকাম করে বলেছেন-“ক্ষতিগ্রস্ত ও তাদের পরিবার পরিজনের সাথে আমি আছি। ‘বরো কমান্ডারস’-দের সাথে নিবীরভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং তারাও আমাকে সময় সময় প্রয়োজনীয় তদন্তাগ্রগতির তথ্য জানাচ্ছেন। এ ঘটনায় আশ-পাশ মানুষদের কারো কোন তথ্য জানা থাকলে ১০১ নম্বরে পুলিশের সাথে যোগাযোগের তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।”
“শেডো আর্লি ইয়ারস মিনিষ্টার” হিসেবে সরকারের শিশুপালন কৌশল(চাইল্ডকেয়ার পলিসি) নিয়ে বলেন, “নির্বাচনের সময় সরকার ৩০ঘন্টা শিশু রক্ষণাবেক্ষনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আমি কাজ করেছি এবং এখনও করে যাচ্ছি আর সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি তাদের প্রতিশ্রুতির কথা এবং বলেছি তা অনুসরণ করার জন্য, আরও বলেছি যে তাদের তহবিলায়ন খুবই অপর্যাপ্ত।” তিনি তার ব্লগে খুবই যৌক্তিকভাবে লিখেছেন যে অনেক অমীমাংসিত মৌলিক বিষয় যেমন একক বাজার ও শুল্ক ইউনিয়ন, শ্রমিক অধিকার, জলবায়ূ পরিবর্তন, বহির্বিশ্বে বৃটিশ নাগরীকগন, অর্থপাচার, সন্ত্রাস বিরুধীতা এবং ব্যবসাধিকার ইত্যাদি নিয়ে তার প্রশ্ন আছে।
সরকার এখনও কিছু বলেননি আলাপ-আলোচনার ভেতর দিয়ে আমরা কি অর্জন করতে যাচ্ছি এবং কেনো ‘আর্টেকুল ৫০’ বিষয়ে সংসদে কোন পূর্ব আলোচনা ছাড়াই মার্চ ২০১৭ সময়কে শেষ সময় হিসেবে বেচে নিলেন যা খুবই বিতর্কিত। আমি মন করি একটি সময় নির্ধারণের পূর্বে ইউনিয়ন ছেড়ে আসার মত এমন একটি বিষয়ে অনেক আলোচনার প্রয়োজন ছিল। এটি অত্যন্ত কম সময়। আমার সংসদীয় এলাকার ৭৫ভাগ মানুষ থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছেন এরপরও যেহেতু আমি সকলের প্রতিনিধি তাই সময় নিয়েছি যারা বের হয়ে আসার পক্ষে ভোট দিয়েছেন তাদের অভিমত জানতে। বের হয়ে আসার পক্ষে ভোট দেয়ার পেছনে অনেক কারণ আছে এবং আমি তাদের অগ্রাধিকারগুলো বুঝার চেষ্টা করেছি। এতে করে তাদের অন্য কি উপায়ে সহায়তা দেয়া যায় তা’বের হয়ে আসবে এবং তাদের বিষয়গুলোকে তুলে ধরা যাবে।
গণভোট নিয়ে সরকারের ব্যবস্থাপনা এবং এই সাথে আমাদের অর্থনীতি ও সংস্কৃতির ভবিষ্যৎ, এসব কিছুই স্বচ্ছতা থেকে বহু দূরে ফলে আমি “মোশান” এর বিপরীতে ভোট দিয়েছি। আশা করি সরকার এখন বুঝতে পারছেন।