কমলগঞ্জে পানি কমতে শুরু করেছে,
বন্যাদুর্গত এলাকায় খাবার ও পানি সংকট,
বিভিন্ন সংগঠনের ত্রাণ বিতরণ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় ধলাই নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে বন্যাদুর্গত এলাকায় খাবার ও পানি সংকট দেখা দেওয়ায় দুর্ভোগ আরও বাড়ছে। শনিবার (২৪ আগস্ট) উপজেলার বন্যার্তদের মাঝে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। সকাল থেকে শমশেরনগর বস্ত্র ব্যবসায়ীর উদ্যোগে উপজেলার সতিঝিরগাঁও, রুপসপুর, বনবিষ্ণুপুর, বৃন্দাবনপুর এলাকায় ১৬০ পরিবারের মাঝে জনপ্রতি ১০ কেজি করে (চাল, ডাল, লবণ, তেল, পেঁয়াজ, আলু) বিতরণ করা হয়। বস্ত্র ব্যবসায়ীরা পানিবন্ধি লোকদের মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব সামগ্রী বিতরণ করেন। দুপুরে মুন্সীবাজার ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায় সরকারিভাবে বরাদত্দকৃত জিআর এর চাল জনপ্রতি ১০ কেজি করে বন্যাদুর্গত লোকদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। বিএনপি, জামায়াত ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।
অপরদিকে শনিবার বিবেকের তারুণ্য, শ্রীমঙ্গল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শমশেরনগর সনাতনী সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ১৫/১৬টি গ্রাম এখনো প্লাবিত হয়েছে। এদিকে ধলাই নদীর ভাঙনের ফলে কমলগঞ্জ উপজেলার দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও খাবার পানির সংকট। যদিও উপজেলা প্রশাসন থেকে দাবি করা হয়েছে দুর্গত এলাকায় সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে পর্যাপ্ত খাদ্যসহায়তা পাঠানো হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত নৌকা সংকটে দুর্গত এলাকায় খাদ্যসহায়তা পাঠানো যাচ্ছে না বলে জানা গেছে।
মুন্সীবাজার ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নাহিদ আহমদ তরফদার জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে সরকারিভাবে কিছু ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে রয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। ত্রাণ অপ্রতুল রয়েছে।
উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান শনিবার দুপুরে সমকালকে বলেন, কমলগঞ্জ উপজেলায় এখন পর্যন্ত ৬০ মে:টন চাল ও সাড়ে ৩ লাখ টাকার শুকনো খাবার সরকারিভাবে বিতরণ চলছে। তিনি আরও বলেন, গতকাল বিকেলে এক ট্রাক শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন। আজ আরও খাবার বরাদ্দ দেওয়া হবে।