1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
বিলেতে বাঙ্গালী... - মুক্তকথা
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন

বিলেতে বাঙ্গালী…

আনসার আহমদ উল্লাহ॥
  • প্রকাশকাল : শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫
  • ২ পড়া হয়েছে

বর্ণবাদী হামলার শিকার ইসহাক আলীর স্মরণসভা


 

পূর্ব লন্ডন, ২৫ জুন ২০২৫ – ১৯৭৮ সালে হ্যাকনিতে বর্ণবাদী হামলার শিকার ইসহাক আলীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পূর্ব লন্ডনের ভ্যালেন্স রোডের পিওর চায় সেমিনার রুমে একটি হৃদয়স্পর্শী স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলতাব আলী ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি আলীর ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকীর ঠিক একদিন আগে অনুষ্ঠিত হয়।

ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন নূরউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আনসার আহমেদ উল্লাহর পরিচালনায়, এই সমাবেশে ইসহাক আলীর জীবন নিয়ে প্রতিফলন করার জন্য পরিবারের সদস্য, বর্ণবাদ বিরোধী এবং যুব সংগঠকদের একত্রিত করা হয়।

আনসার আহমেদ উল্লাহ ২৬ জুন ১৯৭৮ সালের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন ৪৫ বছর বয়সী ইসহাক আলী এবং ২০ বছর বয়সী ফারুক উদ্দিন হ্যাকনির উরসউইক রোডে আলীর বাড়ির কাছে তিনজন শ্বেতাঙ্গ যুবক দ্বারা আক্রান্ত হন। দুইজনকে ঘুষি মেরে এবং একটি প্রতিবেদন অনুসারে, তাদের বুটের ফিতা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। কুপারসেল রোডে বসবাসকারী পাঁচ সন্তানের জনক আলী মারাত্মক হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং হ্যাকনি হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তিনি মারা যান।

সেই সময়, ইসহাক আলীর চাচাতো ভাই, সফর উদ্দিন, হ্যাকনি গেজেটকে বলেছিলেন, “তার গায়ের রঙের কারণে তাকে আক্রমণ করা হয়েছিল। কোনও টাকা নেওয়া হয়নি। ইস্ট এন্ডে এটি সর্বদা ঘটে।” হ্যাকনি কর্মী অলোক বিশ্বাস, যিনি পরিবারকে চিনতেন, বলেছেন ফারুক উদ্দিন রিপোর্ট করেছেন যে আক্রমণকারীরা বর্ণবাদী গালিগালাজ করেছিল, দুই ব্যক্তিকে “পাকি” এবং “কালো” বলে অভিহিত করেছিল।

সভায় ইসহাক আলীর শ্যালক, জাহাঙ্গীর খান, বলেন বিয়ানী বাজারের মোরিয়া ইউনিয়নের ফেন গ্রামে জন্মগ্রহণকারী ইসহাক আলী খুব বন্ধুত্বপূর্ণ, রসিক এবং অমায়িক ব্যক্তি ছিলেন । তিনি বলেন হলওয়ে রোডে একটি রেস্তোরাঁ এবং হ্যাকনিতে একটি কারখানার মালিক ছিলেন ইসহাক আলী ।

বক্তাদের মধ্যে ছিলেন আলতাব আলী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা আকিকুর রহমান, আলতাব আলী ট্রাস্টের রফিক উল্লাহ, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফ্রন্টের (বিওয়াইএফ) জামাল মিয়া, জয়নাল চৌধুরী এবং আবদুস সাত্তার, বাংলাদেশ ইয়ুথ মুভমেন্টের চুনু মিয়া, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট আব্দুল মালিক খুকন, অভিনেতা স্বাধীন খসরু, ফাউন্ডেশনের সহকারী সম্পাদক জামাল খান, স্বাধীনতা ট্রাস্টের চেয়ারপারসন জুলি বেগম , বাংলাদেশ ইয়ুথ লীগের সেলিম উল্লাহ, সাংবাদিক শাহ মুস্তাফিজুর রহমান বেলাল, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাজিদুর রহমান, ইসহাক আলীর কনিষ্ঠ পুত্র শুহেল আহমেদ, তার পুত্রবধূ হাসিনা আহমেদ, প্রোগ্রেসিভ ইয়ুথ অর্গানিসশনের শুভা মতিন এবং খালিক আহমেদ।

অনুষ্টানে হ্যাকনি ও টাওয়ার হ্যামলেটস ডিফেন্স কমিটির সদস্যদের – অলোক বিশ্বাস, ভজন চ্যাটার্জী এবং প্যাট্রিক কোডিকারা প্রতিও শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয় – যারা ইসহাক আলীর মৃত্যুর পর বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

বক্তারা ইসহাক আলীর এবং বৃহত্তর বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন সংরক্ষণের জন্য স্বাধীনতা ট্রাস্টের সহযোগিতায় একটি স্মারক পুস্তিকা তৈরির পক্ষে সমর্থন জানান এবং তার মৃত্যু বার্ষিকভাবে উদযাপনের প্রস্তাব করেন।

ইসহাক আলী তার মৃত্যুর নয় বছর আগে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে এসেছিলেন। এখানে উল্লেখ্য যে ইসহাক আলীর হত্যার জন্যে তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করে অভিযুক্ত করা হয়, কেন্টিশ টাউন রোডের ১৭ বছর বয়সী একজন ক্যাবিনেট মেকার এবং হোমারটনের ১৬ বছর বয়সী দুই কিশোর। ১৯৭৯ সালে, তাদের প্রত্যেককে মাত্র ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, খুনের অভিযোগে নয় বরং ছিনতাইয়ের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।
হাফিজ মোঃ জিল্লু খানের নেতৃত্বে ইসহাক আলীর জন্য একটি বিশেষ দোয়ার মাধ্যমে সভাটি শেষ হয়।


 

ইউকেবাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির বার্ষিক ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা সম্পন্ন

 

ব্রিটেনে বসবাসরত বাংলাদেশি রিপোর্টারদের সংগঠন ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো বার্ষিক ব্যাডমিন্টনপ্রতিযোগিতা ২০২৫। পূর্ব লন্ডনের নিউহ্যাম লেজার সেন্টারে আয়োজিত এ প্রতিযোগিতা ছিল প্রাণবন্ত ও আনন্দঘন।

 

 

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ব্যাডমিন্টন শুধুমাত্র একটি খেলাই নয়, এটি শরীর ও মন উভয়ের জন্যই উপকারী। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, পেশি ও হাড়ের শক্তি বাড়ায় এবং মানসিক চাপ প্রশমনে সহায়তা করে।

তারা আরও বলেন, যুবসমাজকে সুস্থ রাখতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। বিশেষ করে মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হলে তরুণদের খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্তকরতে হবে।

প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক সাজিদুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণসম্পাদক মিজানুর রহমান মীরু।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউহ্যাম কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান রহিমা রহমান এবং টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক স্পিকার আহবাবহোসেন। খেলার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সহ-সভাপতি জামাল আহমদ খান।

অন্যান্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি আনসার আহমদ উল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ, আব্দুল বাছির, শামীমআশরাফ, আব্দুল মুমিন, আলমগীর হোসেন, আব্দুল মুনিম, জাকির হোসেন, আলা উদ্দিন, দিলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

এবারের টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন দিলোয়ার ও আক্কাস জুটি। বিজয়ীদের হাতে ট্রফি ও পুরস্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।


যুক্তরাজ্যে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী


 

গত ২৬ জুন   একাত্তরের   ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি যুক্তরাজ্যের  উদ্যেগে লন্ডনে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ৩১ তম মৃত্যুবার্ষিকীপালন করা হয়।

লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য কমিটির সভাপতি সৈয়দ এনাম ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণসম্পাদক জুয়েল রাজ।

 

 

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাহানারা ইমামের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে,এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। জাহানারা ইমামের গণ আদালত গঠন ও আন্দোলন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আবু মূসা হাসান। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূলকমিটি যুক্তরাজ্য গঠনে জাহানারা ইমাম কিভাবে তরুণদের যুক্ত করেছিলেন সেই প্রেক্ষিত নিয়ে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনসার আহমদউল্লাহ। এ ছাড়াও শহীদ জননীর স্মৃতিচারণ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌছ সুলতান , কবি শামীম আজাদ ও চলচ্চিত্র নির্মাতা লিসা গাজী।

জাহানারা ইমামের ৭১ এর দিনগুলি বই থেকে পাঠ করেন বাচিক শিল্পী মুনিরা পারভীন, শেষ চিঠি পাঠ করেন নজরুল ইসলাম অকিব। অনুষ্ঠানের মুল আকর্ষণ ছিল শহীদ জননীকে নিয়ে বিলেতের কবিদের স্বরচিত মৌলিক কবিতা আবৃত্তি। এ পর্বে অংশ নেন কবি শামীম আজাদ, হরমুজআলী, কবি হামিদ মোহাম্মদ, কবি শাহাব আহমেদ বাচ্চু, কবি মাসুক ইবনে আনিস, কবি মাহফুজা তালুকদার, কবি মুজিবুল হক মনি ও কবি ধনঞ্জয় পাল।কবি শামীম আহমেদ ও কবি আতাউর রহমান মিলাদের লেখা কবিতা আবৃত্তি করেন উর্মি মাজহার, কবি দিলু নাসেরের কবিতা আবৃত্তি করেন নিলুফা হাসানও কবি জুয়েল রাজের কবিতা আবৃত্তি করেন মুনিরা পারভীন।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সাংবাদিক মাতিয়ার চৌধুরী, সংগঠনের যুক্তরাজ্য কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ মুস্তাফিজুররহমান বেলাল, সহ সভাপতি জামাল খান, ও নাজমা হোসেন,  সত্যব্রত দাশ স্বপন, মাহমুদ হাসান মিঠু, লিপি ফেরদৌসী, কবি আজিজুল আম্বিয়া প্রমুখ।

বক্তব্যে বার বার যে কথাটি উচ্চারিত হয়েছে তা হলো, শ্রদ্ধেয় জাহানারা ইমাম যে উদ্দেশ্যে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি গঠন করেছিলেন এবংদেশবাসীর উপর যে দায়িত্ব অর্পণ  করেছেন তা যথাযথ পালন করতে হবে। একাত্তরের ঘাতকদের বিচার সম্পন্ন করতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান ‘জয় বাংলা’ অক্ষুন্ন রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

অনুষ্ঠান শেষে উদিচী সত্যেন সেন স্কুলের শিল্পী নুরুল ইসলাম ও অসীমা দের নেতৃত্বে সমবেত কন্ঠে পরিবেশন হয় ‘মাগো ভাবনা কেন আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে। তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি, তোমার ভয় নেই মা, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি।’


 

ছাতক এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে উদ্যোগের ঘোষণা

 

ছাতক এডুকেশন ট্রাস্ট তাদের শিক্ষা ও সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ততা জোরদার করার জন্য একাধিক নতুন উদ্যোগ নিয়েছে , যা ১৭ জুন ২০২৫ তারিখে পূর্ব লন্ডনেরমাইক্রোবিজনেস সেন্টারে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির অনুষ্ঠিত সভায়  সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

 

 

রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক  আনসার আহমেদ উল্লাহর পরিচালনায়, সভায় কোষাধ্যক্ষ আসকর আলী সহ আলোচনায়অংশগ্রহণকারী ইসি সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ মুজাহিদ উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ উল্লাহ, ভাইস চেয়ারম্যানআফজাল রাজা চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদ আলী, ভাইস চেয়ারম্যান আকমল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আসকর আলী, যুগ্ম সম্পাদক মনসুজ জামানমোহন, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন (প্রাক্তন কাউন্সিলর), সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল তুয়াহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদকমোঃ আবু শহীদ, শিক্ষা সম্পাদক ড. শামীম আহমেদ, বৃত্তি সম্পাদক আরশাদ আহমেদ, স্বাস্থ্য সম্পাদক মিজানুর রহমান এবং ট্রাস্টি হেলাল মিয়া, সুরুজমিয়া, মিসবাহ উজ্জামান এবং মোঃ নওয়াজ শরীফ।

কমিটি বার্মিংহামে তাদের পূর্ববর্তী বৈঠকের ফলাফল পর্যালোচনা করে, যেখানে ছাতকে একটি ছাত্র বিতর্ক শুরু করার, বিনিয়োগের সুযোগ অন্বেষণের জন্যএকটি উপকমিটি প্রতিষ্ঠা করা এবং এই অঞ্চলে একটি স্থায়ী ভিত্তি স্থাপনের বিষয়ে বিবেচনা করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে, সাম্প্রতিকসভায় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, যা শিক্ষাগত উন্নয়ন এবং ট্রাস্টিদের সম্পৃক্ততার প্রতি ট্রাস্টের চলমান প্রতিশ্রুতির ইঙ্গিত দেয়।

আলমগীর শাহরিয়ার কর্তৃক প্রস্তাবিত ছাতকে একটি ছাত্র বিতর্ক অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হয়েছে। সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনকারীট্রাস্টিদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ট্রাস্ট জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে একটি সংবর্ধনা আয়োজন করবে। ট্রাস্টিদের অংশগ্রহণ এবং সামাজিক যোগাযোগকেউৎসাহিত করার জন্য, আগস্ট মাসে ওয়ার্থিংয়ে একটি গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।


যুদ্ধাপরাধী আজহারের মুক্তির প্রতিবাদে
“হৃদয়ে একাত্তর”এর ক্ষোভ ও হতাশা


 

লন্ডনঃ যুদ্ধাপরাধী আজহারের মুক্তির প্রতিবাদে লন্ডন ভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারনকারী সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠন “হৃদয়ে ৭১” ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতির কথা উল্লেখ করে বিশেষ সংবাদদাতা জানান লিখেছেন- “আমরা অবাক বিষ্ময়ে লক্ষ্য করলাম সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যুদ্ধাপরাধী এটিএম আজহারকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধকালে আজহার ছিলেন কারমাইকেল কলেজের ছাত্র, ইসলামী ছাত্রসংঘের(শিবিরের তৎকালীন নাম) নেতা, রংপুর জেলা(তৎকালীন বৃহত্তর জেলা) আলবদর বাহিনীর প্রধান। তার বিরুদ্ধে ১২০০ লোক হত্যা, অসংখ্য লুট, অগ্নিসংযোগ ও ধর্ষন এবং ৪ জনকে অপহরন ও হত্যা -এসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এমন কি একজন নির্যাতিতা নারী স্বয়ং আদালতে হাজির হয়ে স্বাক্ষ্য দিয়েছেন। অভিযোগগুলোর প্রমান পেয়ে তার ফাঁসির রায় দেন ট্রাইব্যুনাল। বিচারিক প্রক্রিয়া চলমান অবস্থায় এক ‘মেটিক্যুলাসলি ডিজাইন’ সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সরকার ক্ষমতা দখল করে। তারপর থেকে ধারাবাহিক ভাবে ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দেয়া, মুজিব নগর ধ্বংস সহ মুক্তিযুদ্ধের সব স্মৃতি ও ইতিহাস নিশ্চিহ্ন করার এক অপপ্রয়াসে লিপ্ত রয়েছে এই চক্র। তারই নতুন সংযোজন আজহারের মুক্তি। সরকারী মদদে সংগঠিত এসব হীন অপতৎপরতা ও অপপ্রয়াসের আমরা তীব্র নিন্দা করছি এবং আদালতের এহেন ফরমায়েশী রায়ে চরম ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করছি। আমরা আশা করব যে ন্যায় বিচার প্রতিষ্টার স্বার্থে মহামান্য আদালত সব ধরনের প্রতিকূলতা ও প্রভাবের উর্ধে উঠে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আরো নিষ্ঠাবান হবেন।

২৯মে ২০২৫ইং তারিখে লিখিত উক্ত বিবৃতিখানায় কাউন্সিলার মঈন কাদরী(মেয়র) ও ৫জন মুক্তিযোদ্ধাসহ মোট ৫৬জনের নাম পাওয়া গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT