মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। ভারতের লোকসভা ভোটকে সামনে রেখেই গতকাল বুধবার ৬ই মার্চ দিল্লীতে বসেছিল বৃহৎ ২০টি(জি-২০) দেশের দূতদের এক মধ্যাহ্নভোজের অনুষ্ঠান। এ ভোজ অনুষ্ঠানে সে দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়ে তাদের দলের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভবিষ্যত বিয়য়ে বিদেশী দূতদের সাথে মতবিনিময় করেন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিং বিদেশী দূতদের সাথে তাদের দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির কথা বিশদ আলোচনা করেন। বেশ গুরুত্বপূর্ণ এ সভায় পাকিস্তানের দূতকে নিমন্ত্রণ পাঠানো হয়নি, যেখানে চীন, আমেরিকা ও বৃটেনের হাইকমিশনার নিমন্ত্রিত ছিলেন।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বৃহৎ-২০ দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতদের সাথে তার দলের পক্ষ থেকে বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের বিষয়ে আলোচনা করেন।
স্থানীয় একটি হোটেলে এই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। মূলতঃ সভাটি হওয়ার কথা ছিল গত ফেব্রুয়ারী মাসের ১৪তারিখে কিন্তু পুলওয়ামা সন্ত্রাসী ঘটনায় তা বাতিল হয়েছিল।
রাহুল গান্ধী পরে বলেন, মতবিনিময়ে তিনি খুবই মুগ্ধ হয়েছেন এবং রাষ্ট্রদূতদের সাথে এধরনের মতবিনিময় অব্যাহত রাখার দিকে তিনি লক্ষ্য রাখবেন। তিনি রাষ্ট্রদূতদের কাছে একটি বিষয়ে তার দলীয় অবস্থান পরিষ্কার করে আরো বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ সময় মধ্যাহ্নভোজে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, নেপাল এবং আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, আর্জেন্টিনা, অষ্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মেনী, ইন্দোনেশিয়া, ইটালী, জাপান, কোরিয়া, মেক্সিকো, রুশিয়ান ফেডারেশন, সৌদি আরবিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং তুরস্ক এ ভোজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল এবং আলোচনায় অংশ নেয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের প্রাক্তন হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী মহোদয় ও দিল্লীতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীসহ আরও অনেকেই এ ভোজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ব্রুনাই, ডোমিনিকান রিপাব্লিক এবং রোমানিয়ার আঞ্চলিক সংস্থা আসিয়ান, গ্রুলেক ও ইউরোপ গোষ্ঠীগুলোও ভোজসভায় উপস্থিত ছিল। সূত্র: দি এশিয়ান