লন্ডন: গুলজার আহমদ নামের একজনকে কেবল মাত্র মুসলমান হওয়ার কারণে ট্রেনে আক্রান্ত হন এবং পড়ে তাকে ডাব্বা থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গয়া থেকে ভাগলপুর আসার পথে। গত ১৬ই জুলাই রোববার ‘কেরাভেনডেইলী.কম’ নামের একটি অনলাইন খবরটি প্রকাশ করেছে।
গুলজার আহমদ মূলতঃ ভাগলপুরের মানুষ, গয়াতে একটি মসজিদে ইমাম হিসেবে কাজ করেন। গতকালই তিনি ভাগলপুর যাবার উদ্দেশ্যে একটি ট্রেনে উঠেন। ‘কেরাভেন’কে গুলজার যে ভাবে বলেছেন, “আমি যখন কমপার্টমেন্টে উঠি তখন ট্রেনটি বলতে গেলে খালি ছিল। এরপর ধীরে ধীরে যাত্রীরা আসতে থাকেন এবং যাত্রী ভীড় বাড়তে থাকে। ট্রেন ছাড়ার ঘন্টাখানেক পরে একজন যুবক আমার কাছে এসে আকষ্মিকভাবে আমার কলার ধরে এমনভাবে টান দেয় যে আমি ট্রেনের মেঝেতে পড়ে যাই। যে মূহুর্তে আমি পড়ে গেলাম ওমনি আরো কয়েকজন ‘মারো’ ‘মারো’(kill him) বলে চিৎকার করে উঠে।”
গুলজার আরো বলেন, “ওখানে আরো ৪/৫ জন মহিলা বসেছিলেন, তারা আমার উপর সদয় হয়ে ওদেরকে আমায় ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। মহিলাদের কথায় ওরা আমায় ছেড়ে দেয় কিন্তু কতিপয় যাত্রী তখন আবার চিৎকার দিয়ে বলতে শুরু করে- ‘ওর সার্ট ছিঁড়ে দে’, আর ‘মোবাইল নিয়ে নে’। আমি খুব নীরবতা পালন করি, একটি শব্দও উচ্চারণ করিনি। যদি কিছু বলতাম তা’হলে আমার অবস্থা জুনেদের চেয়েও খারাপ হতো। জুনেদকে আক্রমন করেছিল ছোট্ট একটি দল আর এখানে আমি যেখানে বসে আছি সারা ট্রেনের মানুষ আমাকে পিটাবে। প্রত্যেকেই চিৎকার করে বলছিল, ‘একজন মুসলমানের কোন অধিকার নেই সিটে বসে যাবার। ট্রেনের গতি তখনও বেশ কিছুটা কম ছিল। ওরা আমার জিনিষপত্র ট্রেনের বাহিরে ফেলে দেয় এবং আমাকে ‘জরুরীভাবে বেড় হয়ে যাবার রাস্তা’ ধরে বের করে দেয়। এর পর আমি অনেক কষ্টে জানলা ধরে ঝুলে ঝুলে নেমে পড়ি।”