ক্ষুদে লিখিয়ে মেহজারিন মাইশা। গ্রামীণ বহু সংস্কারের সংস্কৃতিতে গড়ে উঠা কন্যা মাইশা লেখা-পড়ার ফাঁকে ফাঁকে সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তির চর্চ্চা করেছেন তার বাল্যে। স্কুল জীবন থেকেই মাইশা মায়ের অনুপ্রেরণায় নৃত্য ও সংগীত চর্চ্চায় উৎসাহি হন। সেই কিশোরী বয়সেই অংশ নেন স্থানীয় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। ছোট্ট ক্ষুদে শিল্পী হিসেবে পুরস্কৃত হন গুণীজন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে। তার পর আসে জীবনে পরিবর্তনের পালা। চিরাচরিত বাল্য-কৈশোরের দূরন্তপনাকে বিদায় জানিয়ে নতুন জীবনে প্রবেশ করেন মাইশা। আসে শিক্ষা-দীক্ষায় জীবনকে সমৃদ্ধ করার সময়। জীবনে আসে সময়ের পরিবর্তন। উচ্চশিক্ষার জীবন সে এক বৈচিত্রময় অভিজ্ঞতা অর্জনের কাল। বহু আকাঙ্ক্ষিত সে উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্যে পাড়ি জমান বড় শহরের উদ্দেশ্যে। সমৃদ্ধ সিলেটের বৈচিত্রময় জীবনের চৌহদ্দীতে পা দেন। সদা হাসি-খুশী মনের শিক্ষিকা মা তাকে প্রেরণা যুগিয়ে শিল্পী হিসেবে তৈরী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কর্ম পরিকল্পিত না হলে যা হয় তাই হলো মাইশা’র জীবন চলার পথে। স্কুল জীবনের শেষে মহাবিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে তাকে চলে যেতে হয় সিলেটে। লেখা-পড়ার স্বার্থে মা থেকে দূরে চলে যাওয়ার কারণে সংগীত চর্চ্চায় ভাটা পড়ে। এতেই ছেদ পড়ে তার নৃত্য চর্চ্চায়ও। অনেক প্রতিকূলতার মাঝেও হাল ছাড়েননি মাইশা। লেখা-পড়ার পাশাপাশি চালিয়ে যান আবৃত্তি চর্চ্চা ও কবিতার অনুশীলন। ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন নিজের চিন্তা-চেতনার নতুন ভুবন। চেতনার সে ভুবনেই জীবনের নতুন স্বপ্নের জাল বুনে অনাগত আগামীর দিনগুলোকে শিল্প-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ আনন্দময় করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে এখন হাটছেন মেহজারিন! শত ইচ্ছে থাকলেও আগের মত আর সময় দিতে পারেন না। জীবনের অফুরান ইচ্ছেগুলোর সবক’টি না হলেও অনেকটাই হয়তো অপূর্ণ থেকে যাবে! তার পরও কিছুটা পূর্ণতাতো আসবেই। এমন আশায়ই মন বেঁধে এখন উচ্চ শিক্ষার আঙ্গিনায় বিচরণ মাইশা’র। উপরে দেয়া ছড়া বা কবিতা তিনটি মাইশা’র বাল্যের লিখা। সেই যখন কিশোরী বয়স মাইশা’র মননে ছুঁই ছুঁই করছে তখনই এমন সব চিন্তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন স্বকীয় ভাষা ও নমুনায়। খুবই সহজিয়া মনের এই কন্যা তার কিশোরী মনের গভীরের কথা এভাবেই ফুঁটিতে তুলতে চেয়েছিলেন কলমের কালিতে। আমরা তার মনের গভীরের উপলব্দিগুলোকে তিনি যে ভাবে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন কোন ধরনের সম্পাদকীয় চর্চ্চা ছাড়াই হুবহু এখানে তুলে দিলাম। -সম্পাদক |