প্রকাশিত খবরে জানা যায়, গত ২২ নভেম্বর রাতে নেতনিয়াহু আকাশ পথে উড়ে যান সৌদি আরবে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সলমানের সাথে এ গোপন বৈঠক করতে। কে অনুমান করছেন এমন কিছু উল্লেখ না করেই নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছেন- এ দু’দেশের এমন উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক এটিই প্রথম। তারা অনুমান করছেন, এর মাধ্যমে এ দু’দেশের মধ্যকার সুদীর্ঘকালের বিরোধের অবসান হতে যাচ্ছে। কোন সংবাদপত্রের নাম নেই, টাইমস লিখেছে খবরটি না-কি প্রথম প্রকাশ করে একটি ইসরায়েলি “আউটলেট”। পরে ইসরায়েলের শিক্ষামন্ত্রী রেডিও সাক্ষাতকারের মধ্যদিয়ে বিষয়টি জনসাধারণে নিয়ে আসেন।
এখানেই শেষ নয়। ওই মন্ত্রী আবার বেতার সাক্ষাতে বলেছেন-সভা হয়েছে এবং তা প্রকাশ করাও হয়েছে ফলে বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তিনি আরও বলেন, এরকম একটা কিছু হওয়ার স্বপ্ন আমাদের পূর্বপুরুষেরাও দেখতেন। কি স্বপ্ন দেখতেন শিক্ষা মন্ত্রী গেলেন্ট নিজেই বলছেন- “এ বৈঠকের অর্থই হলো সুন্নী বিশ্ব ইসরাইলকে মেনে নিল।” এর পরেই নিউইয়র্ক টাইমস এর বরাতে ন্যাশনেল হ্যারাল্ড লিখছেন- এ বৈঠকের পরেই সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও সুদান ইসরাইলের সাথে নিয়মানুযায়ী সম্পর্ক স্থাপন করবে। যা ট্রাম্প প্রশাসন এগিয়ে নিয়ে গেছে। আরব দেশগুলি দীর্ঘকাল ব্যাপী ইসরায়েলকে একঘরে করে রেখে আসছিল পেলেস্টেনিয়ানদের সাথে একাত্মতা দেখাতে।
এটি খুবই সত্য হতে পারে। ইসরায়েলের সাথে প্রতিবেশী একটি দেশের সম্পর্ক গড়ে উঠাটাই স্বাভাবিক। না উঠা হলো অস্বাভাবিক। কিন্তু এই সম্পর্ক গড়ে না উঠার কারণটাইতো ছিল আমেরিকার ধনীকশ্রেণীর সাম্রাজ্যবাদী রাজনৈতিক চরিত্র। আমরাতো বলবো এ বৈঠক সরাসরি আমেরিকার দীর্ঘদিনের ধনবাদী সাম্রাজ্যবাদী নীতির ভরাডুবি। আমেরিকার সাথে কোন পূর্ব পরামর্শ না করেই ইসরায়েল চলে গেলো রাতে আঁধারে সোলেমানের হাতে-পায়ে ধরে একটা আপোষরফা করতে। ইসরায়েল এটি ভালই করেছে। এমন কাজ করে বুদ্ধিমানের পরিচয় দিয়েছে তারা। আর একই সাথে পরোক্ষভাবে বিশ্ব পুঁজিবাদী মোড়লিপণা থেকে দাপ্তরিকভাবে আমেরিকান ধনবাদের বিদায় ঘোষণা করে দিয়েছে।
লণ্ডন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০
|