মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। বেলা ২টার কিছু আগে। মধ্যাহ্নভোজের সময়। লণ্ডনব্রীজের দক্ষিন দিকের সুরিখানা ও রেষ্টুরেন্টগুলি খদ্দেরে খদ্দেরে ভরে উঠছে। এদের বেশীরভাগই ভ্রমণকারী আর অফিস কর্মী। কিন্তু হঠাৎ কি হয়ে গেলো! এক পলকের মাঝে সবকিছু ওলট-পালট হয়ে গেলো। মানুষ সব দৌড়াতে শুরু করেছে। সেতুর কাছের পাতাল রেল ষ্টেশন “লণ্ডনব্রীজ” বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আশপাশের সুরিখানা ও রেস্তোরাঁ যেগুলো শুক্রবারের মত দিনে মানুষে মানুষে ভরে উঠে, থাকে খুবই কর্মব্যস্ত, মুহুর্তের মধ্যে সব খালি হয়ে গেলো। ঘটনা কি?
লণ্ডনব্রীজের উপর ২জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে এবং আরো ৩জন মারাত্মক জখম হয়েছেন। পুলিশের প্রধান ক্রেসিদা ডিক এক সংবাদ সভায় এ তথ্য দিয়ে বলেন, এটি একটি জঙ্গীবাদী আক্রমণ। কাছের “ফিশমঙ্গার’স হলের অনুষ্ঠান থেকে শুরু হয়েছে। পুলিশকে ডাকার ৫মিনিটের ভেতর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে। সন্দেহজনক মানুষটি, ফুটিয়ে দেয়া যায়, এমন বিষ্ফোরক সামগ্রী শরীরে লাগিয়ে ঘুরা-ফেরা করছিল। লোকটি পুরোনো জঙ্গীবাদী হাজতবাসী এবং জঙ্গীবাদী অভিযোগে শাস্তিপ্রাপ্ত একজন আসামী। ফিশমঙ্গার’স হলে এসময় “ক্রিমিন্যাল জাস্টিজ ইভেন্ট চলছিল। কয়েক ডজন মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাদের মাঝে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং প্রাক্তন আসামীরাও ছিলেন। ঘটনার ভিডিও যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা থেকে দেখা যায় ব্রীজের উপরে চলাচলকারী মানুষজন আততায়ীকে ধরে ফেলেছে এবং পরবর্তীতে পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে।