রেড টাইমসের প্রধান সম্পাদক সাংবাদিক, লেখক, কবি, অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৌমিত্র কুমার দেব(টিটু) আর আমাদের মাঝে নেই। চলে গেছে না ফেরার দেশে।
গত মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ইং সকালে ঢাকার খিলক্ষেত লেকসিটির বাসায় শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্ত্রী পলা দেব সকাল ৯টার দিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে চিকিৎসক তখন তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা যায় তিনি এজমা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তিনি, স্ত্রী পলা দেব ও একমাত্র ১২ বছরের ছেলে, তিন বোন সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
টিটুর মরদেহ প্রথমেই মৌলভীবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কিছুক্ষণ রাখার পর শহরের ‘ফরেস্ট অফিস’ রোডে তার নিজস্ব বাসা “দেব ভবন” এ সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিট থেকে ৭:৩০ মিনিট পর্যন্ত রাখা হয়। পরে মৌলভীবাজার শশ্মানঘাটে তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সমাপ্ত হয়।
‘জালাবাদ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন’ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাম রাজনীতির বিপ্লবী সাহসী সৈনিক, অমিত তেজ কলম যোদ্ধা, মুক্তবুদ্ধির চর্চ্চাকারী এ মানুষটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার এক নির্ভিক সাথী ছিল। প্রয়াত টিটু মৌলভীবাজার শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার সহ বিভিন্ন পর্যায়ে সম্মাননা পদকে ভূষিত হয়েছে।
বহু হামলা – মামলার শিকার প্রায় ২০টি গ্রন্থের লেখক, সৌমিত্র দেব কুলাউড়া উপজেলার উচাইল গ্রামের ধনাঠ্য সম্ভ্রান্ত পরিবারের কৃতি সন্তান। তার দাদা ছিলেন মৌলবীবাজারের খ্যাতিমান আইনব্যবসায়ী। টিটু বড় হয়ে উঠেছেন মৌলভীবাজার জেলা শহরে। এখানেই তার ছাত্রজীবন কেটেছে। জেলা শহরের ‘ফরেষ্ট অফিস’ সড়কে রয়েছে টিটুদের পৈত্রিক বাসা।
তার মৃত্যুতে মৌলবীবাজারসহ দেশের সাহিত্য ও সাংবাদিকতা অঙ্গনে এক করুণ মৌনতার সৃষ্টি হয়েছে।
সৌমিত্র দেব ১৯৭০ সালের ২৭ জুলাই মৌলভীবাজার শহরে জন্মগ্রহণ করেন। মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, মৌলভীবাজার সরকারি মহাবিদ্যালয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা অর্জন করেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট থেকে।
তাঁর অকাল প্রয়াণে মুক্তকথা পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা গভীর শোক ও শোকাবহ পরিবারবর্গ এর প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।