ঢাকাস্থ বৃহত্তর সিলেটবাসীর আহ্বানে ঘোষিত ৮ দফা দাবী আদায়ের পাশাপাশি যৌক্তিক বিভিন্ন দাবী আদায়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রেসক্লাবের কর্মসূচীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে শ্রীমঙ্গলেও অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে ষ্টেশনে আমরা শ্রীমঙ্গলবাসীর ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট রোডে দুই জোড়া স্পেশাল ট্রেন চালু, রেলপথ সংস্কারসহ আট দফা দাবি বাস্তবায়ন এবং ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণি প্রেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ নেসার আহমদের সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক সৈয়দ ছায়েদ আহমদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দেবব্রত দত্ত হাবুল, মোঃ কাওছার ইকবাল, এম এ রহিম নোমানী, মোঃ একরামুল কবির, মোঃ আমজাদ হোসেন বাচ্চু, কাজী আছমা, সঞ্জয় দেব, আব্দুল কাদির, সাইয়িদুল ইসলাম সাজু, শাহ মাসুদ আহমেদ প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, যৌক্তিক এসব দাবী দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে শ্রীমঙ্গল থেকেই জোরদার আন্দোলন শুরু হবে। চরম বৈষম্যের শিকার সিলেট বিভাগের সামগ্রিক উন্নয়নের পাশাপাশি রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়ন সিলেটবাসীর পূর্বশর্ত বলে বক্তারা উল্লেখ করেন।
বক্তারা বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে ঐক্য, সচেতনতা ও সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। তারা রেলপথের সংস্কার, আধুনিকায়ন এবং সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ কামনা করেন।
তিন দশক সিলেট বিভাগের রেল ও সড়কের উন্নয়নে লাগাতার বঞ্চিত রেখে চরম বৈষম্যের আচরন করা হয়েছে সিলেটবাসীর সাথে, যা এখন চরম আকার ধারন করেছে। বিভীষিকাময় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, বৃটিশ আমলের রেল যোগাযোগ এর দ্রুত উন্নয়নের দাবীতে দেশ-বিদেশের সিলেটবাসীর সাথে সোচ্চার শ্রীমঙ্গলবাসী।
সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক এক মহাভোগান্তির নাম। ছয় ঘণ্টার গন্তব্যে এখন পৌঁছাতে সময় লাগে ১০-২৪ ঘণ্টা। ট্রেনের টিকিটও সোনার হরিণ। আকাশপথে গুনতে হয় ঢাকা-কলকাতার চেয়ে বেশি ভাড়া।
যোগাযোগ ভোগান্তিতে নাজেহাল সিলেটবাসী এবার বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। বিভিন্ন শ্রেণি প্রেশার মানুষের পাশাপাশি সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনও মাঠে নেমেছে।