আব্দুল ওয়াদুদ, মৌলভীবাজার।। দেশের অন্যতম বৃহৎ হাওর “কাউয়াদীঘি” বেষ্টিত মৌলভীবাজারের রাজনগর-খেয়াঘাটবাজার সড়কের ফের বেহাল অবস্থা দেখা দিয়েছে। গেল ক’বছর আগে সড়কটি পুরোদমে সংস্কার করা হলেও সঠিক পরিকল্পনা না থাকায় অল্প দিনের ব্যবধানে সরকারের প্রায় ৫ কোটি টাকা লোকশান হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, সিলেটের বালাগঞ্জ,ফেঞ্চুগঞ্জ ও রাজনগর উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এ পুরো সড়কটির প্রায় ১৭ কিলোমিটার যায়গা সংস্কার করা হয়। কিন্তু হাওর বেষ্টিত নি¤œাঞ্চলে মাটি ভরাট না করে সড়ক পাঁকা করায় বর্ষা এলেই সড়কের মোকামবাজার, ভুরভুরি পুল এলাকা,মেদেনীমহসহ আরো পাশ্ববর্তী অনেক স্থান জলমগ্ন হয়ে পড়ে।
এমতাবস্থায় এ সড়ক দিয়ে পুরোদমে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বর্ষা মৌসুমে সড়কের উপর দিয়ে নৌকা নিয়ে শহরগামী অংখ্য মানুষ চলাচল করেন। এ জলমগ্ন বেহাল সড়কটি বাস ও ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রতিনিয়ত রাস্থা ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হয়। ফলে ভোগান্তির শিকার হন মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর সদর থেকে আসা কুশিয়ারা নদী সংলগ্ন খেয়াঘাটবাজার গামী ও বালাগঞ্জ থেকে আসা মৌলভীবাজারগামী হাজার হাজার যাত্রী। এরকম আশঙ্কাজনক অবস্থায় পড়ে আছে সড়কের প্রায় ৮ কিলোমিটার যায়গা। সাধারণ ভোক্তভোগীরা বলেছেন, এসকল চিহ্নিত যায়গায় যদি মাটি ভরাট না করে আবার সংস্কার করা হয় তবে সরকারের কোটি কোটি টাকা গচ্ছা যাবে।
ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাশ বলেন, আমরা সড়কটির কারণে বর্তমানে অসহায় অবস্থায় আছি এটা সত্য। তবে, রাজনগর এলজিইডি নতুন একটা প্রজেক্ট করেছে। এটা আরো চার ফুট চৌরা হবে। এছাড়াও যে এলাকা বর্ষামৌসুমে তলিয়ে যায় তা মাটি ভরাট করা হবে বলে তিনি এলজিইডি থেকে জেনেছেন। তবে সড়কটির সংস্কার কাজ নিয়ে মৌলভীবাজার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রশীদ খান বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি শনিবার, ১৩ এপ্রিল এ সাংবাদিককে জানান, সড়কটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে আমাদের “ইষ্টিমিট” পাঠানো আছে। হয়তো আগামী নবেম্বরের মধ্যে “এপ্রুবেল” পাবো। অনুমোদন হলেই জানতে পারবেন।