একজন ঝাড়ু দেয়ার কাজ করতেই পারে। আধুনিক দুনিয়া- রাস্তাঘাট, বাড়ীঘর, অফিস-আদালত ঝাড়ু দেয়া থেকে মুক্ত নয় বরং এখনও আমাদের বিজ্ঞান বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কলাকৌশল এমন আহামরি আধুনিক কিছু হয়নি যে আর ঝাড়ু কোনদিন দিতে হবে না, এমন বলা যাবে। এখনও নিজেদের ঘরই প্রত্যেকদিন ঝাড়ু দিয়ে রাখতে হয়। অতএব ঝাড়ু দেয়া একটি পেশা হতেই পারে। কিন্তু এ কাজের জন্য সে মানুষটিকে অস্পৃশ্য চিন্তা করতে পারে কোন মানসিকতার মানুষ, সে মানসিকতার কোন ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করিনা। এ মানসিকতা যে খুবই নিকৃষ্ট সুদূর অতীতের অন্ধকার দাস যুগের চিন্তা ও চেতনা সে আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
একটি বিষয় খুবই স্পষ্ট যে ভারতের বিভিন্ন এলাকা বা অঞ্চলে নেক্কার জনক ঘৃণ্য এই ‘অস্পৃশ্য’ আর ‘হরিজন’ শব্দগুলোর প্রচলন আছে। আজো ভারতের মত একটি অত্যাধুনিক গণতন্ত্রী দেশ, মানুষকে নিয়ে সমাজের এই নিকৃষ্টতম চিন্তা থেকে সরে আসতে পারেনি। ভারত তাদের বিষয় দেখবে, আমরা সেখানে নাক গলানোর কেউ নই। তবে বিশ্ব মানবতার অভুতপূর্ব কল্যাণের এ যুগে মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিতে ‘হরিজন’ আর ‘অস্পৃশ্য’ শব্দ দু’টির ব্যবহার সকল অর্থে অবশ্যই মানবতার ঘোর বিরুধী এবং দুনিয়ার যেকোন মানুষ এমন ব্যবস্থার সমালোচনার অধিকার রাখে।
আমরা আশা করবো যে বা যারা এ ধরণের মন মানসিকতা বাংলাদেশে বসে লালন করেন তাদেরকে অবশ্যই ঘৃণ্য এ চিন্তা চেতনা থেকে সরে আসতে হবে এবং সরকার তথা স্থানীয় প্রশাসনকেও এ নিয়ে তৎপরতা দেখাতে হবে।
|