মুক্তকথা সংবাদকক্ষ॥ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের খেয়াঘাটবাজারে ৫ ঘন্টাব্যাপী তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১শ জন আহত হয়েছেন। প্রথমে ঘটনাটি দুই গ্রামের মধ্যে থাকলেও পরে অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ জড়িত হয় এই সংঘর্ষে। ঘটনার সময় মাত্র ৪/৫ জন পুলিশ উপস্থিতি থাকলে নিয়ন্ত্রনে আনতে পরিস্থিতি আরো ঘোলাঠে হয়ে উঠে। পরে রাজনগর ও মৌলভীবাজার থেকে স্পেশাল ফৌর্স নিয়ে আসা হলে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ খেয়াঘাটবাজারের এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আহতদের পাশের বালাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রাজনগর ও মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ৯টার দিকে পাশের তুলাপুর গ্রামের কিছু যাত্রী ব্যাটারি চালিত রিক্সা নিয়ে খেয়াঘাট হয়ে পশ্চিমে যাচ্ছিলেন। ওই সময় বাজারের পশ্চিম সিএনজি স্ট্যান্ডের চালকরা বাঁধা দিলে ওই যাত্রীদের সাথে চালকদের ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যায়ে তুলাপুর গ্রামের স্থানীয় ইউপি সদস্য লুৎফুর মিয়া জড়িয়ে পড়লে তুলাপুর ও শাহাপুর গ্রামের চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ আরো বেড়ে যায়। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় তুলাপুর, গবিন্দপুর, মোকামবাজার ও শাহাপুর, বেড়কুড়ি ও হামিদপুর গ্রামসহ অন্তত ১০টি গ্রাম ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। ধারাবাহিক এই ইট-পাটকেল নিক্ষেপকালে আহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরবর্তীতে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে খেয়াঘাটবাজারের জাকির স্টোর’র নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল ও লুৎফুর মেম্বারের দোকানের প্রায় ২ লাখ টাকার মালামাল লুঠ করা হয়।
জাকির হোসেনর বড় ভাই সালেহ আহমদ এ প্রতিবেদককে জানান, তাদের দোকোনের ৪৫ লাখ টাকার মালামাল ও নগদ আরো ৫ লাখ টাকা লুঠ করা হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে এই সংঘর্ষ। রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসিম শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঘটনাস্থল থেকে জানান, স্পেশাল পুলিশ আসায় এলাকাটি আমাদের নিয়ন্ত্রনে আসে। সরেজমিনে ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনতে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমনাসহ বেশ কয়েকজন এএসপি ঘটনাস্থলে আসেন।
|