1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
২৮ বছর বয়সী যুবতীর জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ - মুক্তকথা
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:২৩ অপরাহ্ন

২৮ বছর বয়সী যুবতীর জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ

মৌলবীবাজার থেকে সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২৫ পড়া হয়েছে

ডিএনসি করে আধাঘন্টা রেষ্ট নিয়ে
বাসায় চলে যেতে পারবেন।

ঘটনাটি গত ৯ জানুয়ারীর। মৌলভীবাজারে ২৮ বছর বয়সী যুবতী মাম্পী রাণী দে-র জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডা: ফারজানা হক পর্ণার বিরুদ্ধে। মাম্পী রাণী দে মৌলভীবাজার পৌর শহরের সৈয়ারপুর এলাকার ব্যবসায়ী অনিমেষ দে’র স্ত্রী।

মাম্পী রাণী দে ও তার স্বামী অনিমেষ দে একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ৮ জানুয়ারী হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা: ফারজানা হক পর্ণা’কে দেখালে তিনি আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্ট দেখে বলেন, আপনাদের দেড় মাসের একটি বেবি নষ্ট হয়েছে। হাসপাতালে ডিএনসি করতে হবে। ডিএনসি করে আধাঘন্টা রেষ্ট নিয়ে বাসায় চলে যেতে পারবেন। এটা খুব কঠিন কিছু না।

ডাক্তারের কথা অনুযায়ী তারা স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে পরের দিন(৯ জানুয়ারী) ভর্তি হলে দুপুর ২টায় এসে ফোনে কথা বলতে বলতে অপারেশন  থিয়েটারে প্রবেশ করেন ডা: ফারজানা হক পর্ণা। দু’মিনিট পরেই বের হয়ে বলেন আপনার স্ত্রীর রক্ত লাগবে তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করুন। ফলে, স্বামী অনিমেষ দে বিভিন্ন জায়গায় রক্তের জন্য যোগাযোগ করতে শুরু করেন।

জানা যায়, এসময় রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের দুইজন স্টাফ রক্ত দেয়া শুরু করেন।
স্বামী অনিমেষ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন- ‘আমার স্ত্রীর চিল্লাচিল্লি শুনে আমি ওটিতে ঢোকতে চাইলে আমাকে ঢোকতে দেয়া হয়নি। এক পর্যায়ে আমি জোর করে ওটিতে ঢোকে দেখি আমার স্ত্রীর রক্তে ফ্লোর ভেসে যাচ্ছে। রক্ত ফোম দিয়ে বউলে তোলে বেসিনে ফেলে দেয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় আমার স্ত্রীকে সিলেট নিয়ে যেতে চাইলে দেয়া হয়নি। কিভাবে রোগীকে বাঁচানো যায় জানতে চাইলে ডাক্তার বলেন, জরায়ু কেটে ফেলতে হবে। পরবর্তীতে হাসপাতাল থেকে একটি কাগজে আমার স্বাক্ষর নেয়া হয়। ১০ মিনিট পর আরও একটি কাগজে আমার স্বাক্ষর নেয়া হয়। এর ২ঘন্টা ১৭ মিনিট পর ডাক্তার বের হয়ে বলেন, এখানে আশার আগে আপনারা অন্য কোথায়ও ড্রাই করেছিলেন? আপনাদের ৪ মাসের একটি বেবি ছিল। এক পর্যায়ে আমার কথার কোনো উত্তর না দিয়ে উনি চলে যান। ৩দিন আমরা হাসপাতালে ছিলাম। কিন্তু একবারও আমাদের এসে দেখেননি!’

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতি চিকিৎসক ডা: ফারজানা হক পর্ণা বলেন, “আমি রিক্স নিয়ে রোগীকে বাঁচিয়েছি। সুস্থ্য হয়ে বাসায় গিয়ে কার পরামর্শে আমার নামে বদনাম করছেন আমি বুঝতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, অপারেশন চলাকালিন সময়ে হঠাৎ রোগীর ব্লিডিং শুরু হলে রোগীকে বাঁচানোর জন্য হাসপাতালের স্টাফরা ব্লাড দেন। তখন ডাক্তার আবু বক্কর মোস্তফাও ছিলেন।”

“এক পর্যায়ে আমরা বুঝতে পারলাম জরায়ুতে সমস্যা থাকায় ব্লিডিং হচ্ছে। ব্লিডিং বন্ধ করতে এবং রোগীকে বাঁচাতে হলে জরায়ু কাটতে হবে। তখন রোগীর স্বামীর অনুমতি ও হাসপাতালের সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর নিয়ে জরায়ু কাটি। রোগীর স্বামী তাকে সিলেট নিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন। এই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রোগীকে আমি সিলেট যেতে দেইনি। আমি রোগীকে সেইফ করার জন্য আন্তরিকতার সহিত অপারেশন করেছি। আমার কাজে কোনো দুর্বলতা ছিল না।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT