সে সময় মামলা টি নথিভুক্ত না করে গতকাল শুক্রবার ওই অভিযোগটি নথিভুক্ত করে তার প্রেক্ষিতে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। এ মামলায় অনুজের মাতা পূরবী রাণী দাশ(৬৫) ও পিতা নরেশ চন্দ্র দাশ(৭০)কেও আসামী করা হয়। অনিতা পরিবারের অভিযোগে আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করায় কয়েকদিন ধরে স্থানীয় জনমনে নানা ধরনের প্রশ্ন দানা বেঁধেছিল। অনুজ কান্তি দাশ দৈনিক ইত্তেফাকের শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রতিনিধি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিল।
শ্রীমঙ্গল থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মুরারআবদা গ্রামে দিলিপ দাসের মেয়ে অনিতা রানী দাসের সঙ্গে শ্রীমঙ্গল পূর্বাশা আবাসিক এলাকার বাসিন্দ্রা নরেশ চন্দ্র দাশ এর পুত্র অনুজ কান্তির বিয়ে হয়। মেয়ের বাবা অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকে অনুজ কান্তি দাস তার স্ত্রীকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। অনুজ নেশা করে প্রায়ই তার মেয়েকে নির্যাতন করতো এবং নির্যাতনের কারণে তার মেয়ে মৃত্যুবরণ করেছে বলে তিনি দাবি করেন।
অপরদিকে অনুজ কান্তি দাস তা অস্বীকার করে বলেন, তিনি একটি অনুষ্ঠানে থাকাকালীন সময়ে তাঁর ঘর থেকে ফোন গেলে তিনি ফোন পেয়ে দ্রুত বাসায় এসে স্ত্রীকে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়েছেন জানতে পারেন।
প্রথমে শ্রীমঙ্গল পলি ক্লিনিক নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নেয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে সিলেটের রাগীব-রাবেয়া প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২৯ নভেম্বর সকাল দশটার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আব্দুছ ছালেক জানান, দুপুর তিন টায় অনুজ কান্তি দাসকে তার স্ত্রী হত্যার অভিযোগে আটক করে মৌলভীবাজার জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
|