সৈয়দ ছায়েদ আহমদ, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ শ্রীমঙ্গল পৌরসভা নিয়ে জেলা প্রশাসকের গাফিলতিকে দায়ী করে সচিব হেলাল উদ্দীন বলেন, জেলা প্রশাসকরা মন্ত্রনালয়ে সঠিক রিপোর্ট না পাঠানোর কারনে মন্ত্রনালয় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা। এ ছাড়াও দেশের যে সব পৌরসভায় বিরোধীদলের মেয়ররা দায়িত্বে রয়েছেন- দেখা গেছে সেসব পৌরসভার মেয়ররা ক্ষমতায় থাকার জন্য জটিলতা সৃষ্টি করেন। এখন থেকে মেয়াদ শেষ হলে আর কোন জনপ্রতিনিধি ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে পারবেন না। এজন্য আইন সংশোধন করা হবে। যাতে করে মেয়াদ শেষে জন প্রতিনিধিরা প্রশাসকের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে পারেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার সামগ্রিক উন্নয়নে সরকারী কর্মকর্তা, জন প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সূধী সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, শ্রীমঙ্গল পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সরকার কাজ করছে। নতুন করে কোন আইনি জটিলতা সৃষ্টি না হলে খুব শিঘ্রই শ্রীমঙ্গল পৌরসভা নির্বাচন করা সম্ভব। পৌরসভা এলাকা সম্প্রসারণ নিয়ে হাইকোর্টে একের পর এক রিট দায়েরের কারণে মেয়াদ উত্তীর্ণের ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এখানে নির্বাচন করা যায়নি।
পৌরসভার পরিধি সম্প্রসারণ একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া উল্লেখ করে সচিব বলেন, এর মধ্যে শ্রীমঙ্গল পৌরসভা নিয়ে উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ থাকায় সম্প্রসারণ ও নির্বাচন দুটোই বিলম্বিত হচ্ছে।
বিগত শনিবার, ৯ জানুয়ারী দুপুরে স্থানীয় জেলা পরিষদ হলে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট বিভাগীয় কমিশনার এনডিসি মশিউর রহমান এর সভাপতিত্বে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সংসদীয় এলাকার সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহু রহমান, পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া, শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান(ভারপ্রাপ্ত) প্রেম সাগর হাজরা, শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মহসিন মিয়া মধু, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সৈয়দ মনসুরুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অর্ধেন্দু দেব বেভুল, সাধারণ স¤পাদক ইকবাল হোসেন প্রমূখ।
এসময় শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে শ্রীমঙ্গলের নৃতাত্তিক বিভিন্ন জনগোষ্ঠির শিল্পীরা নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
|