মানববন্ধন শেষে বেলা ২টায় কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) নাসরিন চৌধুরীর কাছে পাহাড় রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির পক্ষ থেকে ৫ দফা দাবী সম্বলিত প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। পাঁচ দফা দাবীর মধ্যে রয়েছে- মাগুরছড়া গ্যাস বিস্ফোরণে অবহেলার কারণে বন, পরিবেশ, সড়কপথ, রেলপথ, চা বাগান, কৃষিখাত প্রভৃতি খাতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অবিলম্বে জনসম্মুখে সেই ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রকাশ করা, গ্যাস ও তেল সম্পদের সব চুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা, কমলগঞ্জস উপজেলার প্রতিটি ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহ করা, দেশের মূল্যবান খনিজ সম্পদ লুন্ঠন, অপচয় করার প্রক্রিয়ায় জড়িতদের চিহ্নিত করা এবং মাগুরছড়া অগ্নিকান্ডের দায়িত্বহীনতার কারণে যে ব্লো আউট ঘটেছে এবং গ্যাস সম্পদ, পরিবেশের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তার জন্য অক্সিডেন্টাল-ইউনোকল, শেভরনের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মার্কিন কো¤পানী অক্সিডেন্টালের খামখেয়ালিপনার কারণে ১৯৯৭ সালের ১৪ জুন মধ্যরাতে মাগুরছড়া গ্যাসকূপে গ্যাস বিস্ফোরিত হয়। তখন আগুনে পুড়ে গ্যাস, চা বাগান, বনা ল, রেলপথ, সড়কপথসহ আশপাশের ঘড় বাড়ীসহ মারাত্বক ক্ষতি হয় পরিবেশের। কিন্তু ২৩ বছরেও ক্ষতিপুরন আদায় করা সম্ভব হয়নি। অবিলম্বে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে ক্ষতিপুরন আদায় করতে সরকারকে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানানো হয় মানববন্ধন থেকে। বক্তারা আরো বলেন, কমলগঞ্জের মাগুরছড়া গ্যাস কূপে বিষ্ফোরণের ২৩ বছর পূর্তিতেও এখনও বন পরিবেশ প্রকৃতির কোন ক্ষতিপূরণ দেয়নি মার্কিন বহুজাতিক তেল গ্যাস কোম্পানী অক্সিডেন্টাল, ইউনিকল বা শেভরন। বন পরিবেশ, জীব বৈচিত্র্য, রেলপথ ও সড়ক পথের ক্ষতি পূরণে আজ পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালের এই দিনে মার্কিন তেল কোম্পানী অক্সিডেন্টাল এর কামখেয়ালীপনায় বিষ্ফোরণ ঘটে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাগুরছড়া গ্যাস কুপে। অগ্নিকান্ডে নিমিষেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় লাউয়াছড়া বনের গাছপালা, চা বাগান পান পুঞ্জি, উড়ে যায় দুটি ব্রীজ, পাকা সড়ক। গলে যায় রেলওয়ে লাইন। ক্ষতি হয় প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা।
|