|
-শাম্মী শামছুল
কোন একদিন শুনবে আমি নাই
অথবা আমি শুনব তুমি নাই;
স্বাস্থ্য সেবায় যতই মনযোগি হও বা হই
কালের খেলার নির্মম এ সত্য বানী
শুনতে হবেই কোন না কোন দিন।
তাই চলো, আর দেরী না করে
বেড়াতে বের হই আমরা, কবে জমবে
অর্থ, যাব স্বপ্নের প্যারি বা সুইজারল্যান্ড
সে অপেক্ষায় কালক্ষেপন নয় আর,
হিসাব কি করছনা, এরই মধ্যে তুমি
পয়সট্টি আর আমি পঁচাত্তর এর পাশে।
আমাদের গাঁয়ের সেই ভাদাইমা ছেলেটার
মত বেড়িয়ে পড়ি চলো, পাখীরা কোথায়
থাকে তা জানার খুব সখ ছিল তার, তাই পাখীর
বাসা খুঁজে ফিরত দিনমান; পাখীর ছানাদের
জন্যে খাবার রেখে আসত। গরু ছাগলেরা
তার কথা শুনতনা বলে বেজায় রাগ ছিল
তাই গাঁয়ের সব কুকুর গুলোকে তার শিষ্য
করেছিল সে। নিঃসার্থ ছেলেটি একাই ঘুরে
ফিরত, স্বাভাবিকতার নিয়মের বাইরে ছিল বলে
লোকে তাকে ভাদাইমা বলে ডাকত।।
তার কথা আজ আর নয়, আমি বলছি তার
মত ঘুরেবেড়াব আমরা। ভয় কি? এখন যৌবন
নাই, তাই যৌনতা খুঁজে পাবেনা কেউ, যৌন মানুষেরা
লাঠি হাতে তেড়ে আসবে না সমাজ গেল ধর্ম
গেল বলে। বরং কেউ কেউ বলতেও পারে আপদ
বিদায় হয়েছে আপনা থেকেই, বেশ ভাল।।
সাহায্য ছাড়া এখনো হাঁটতে পারো তুমি – পারি
আমিও, চলো; প্রথমে উত্তরে, মাটির ঢেউ দেখব,
পাহাড় ঘুরে ঘুরে তার ভাজে ভাজে আদিম সবুজের
বুনো গন্ধ নেব, বনের ফুলে সাজতেও পারো তুমি
একটুও খারাপ লাগবে না। সৃষ্টির আদি সংগীত
ঝর্নার কলতান শুনে শুনে সমতলে আসব আমরা
খুঁজে নেব হিজল তমাল এবং ক্রমান্বয়ে আরো দক্ষিনে,
সাগর কূল পেয়েছে যেখানে।
আস্তগামী সূর্যের লাল আভায় তুমি যেন সেই কিশোরী
রূপ ফিরে পেয়েছ, অন্যদিকে দূর হতে সংগীত সূর এসে
বাজছে কানে- “ওরে মাঝি, ওরে আমার জীবন তরীর মাঝি”
তখন?… লাল সূর্যের পানে চেয়ে আদর জানাব তোমাকে
জীবনের প্রথম ও শেষ আদর। কৈশোর যৌবনে যা হয়নি
শেষ লগ্নে হলেও তা হোলতো, শেষ লগ্ন – জীবনেরই একটা
ক্ষুদ্র অংশতো বটে। |