লণ্ডন।। রোহিঙ্গা শ্মরণার্থী যাদেরকে মিয়ানমার ফেরৎ নেবে তাদের নাগরীকত্বের কোন নিশ্চয়তা থাকবেনা এবং সমগ্র ব্রহ্মদেশে তারা ইচ্ছে স্বাধীন ঘুরতে পারবে না। জাতিসংঘ মিয়ানমারের সাথে রোহিঙ্গা ফেরৎ নেয়ার বিষয়ে যে চুক্তি করেছে সংবাদসংস্থা রয়টার সে চুক্তিকে গোপনচুক্তি বলে অবিহিত করে উপরোক্ত বিষয় উল্লেখ করেছে। আজ ২রা জুলাই ডেইলিষ্টার.নেট এ খবরটি প্রকাশ করেছে।
রয়টার, ওই চুক্তির এমওইউ(মেমোরেণ্ডাম অব আণ্ডারস্টেন্ডিং) পুনরায় দেখতে গেলে বিষয়টি তাদের নজরে আসে। জাতিসংঘ-মিয়ারমারের এ গোপন চুক্তির বিষয়টি ইতিমধ্যে অনলাইনেও ফাঁস হয়েছে। ওই চুক্তিতে আছে যে ‘যারা ফেরৎ আসবে তারা অবশ্যই মিয়ানমারের অন্যান্য নাগরীকদের মত চলাচলের সকল স্বাধীনতা ভোগ করবে চলমান আইন ও বিধান মেনে।” অথচ মিয়ানমারের বর্তমান আইনে রোহিঙ্গাদের অবাধ গতিবিধি রহিত করা হয়েছে। ফলে জাতিসংঘ-মিয়ানমারের এ চুক্তি নিজেদের দেশে রোহিঙ্গাদের অবাধ চলাচলের অধিকার রহিত করা হয়েছে বলে রয়টারের দাবী।
এর ফলে অবস্থা দাড়াবে এই যে যারা স্বইচ্ছায় ফিরে যাবে তারা সেখানে নিজের ইচ্ছেমত ঘুরাফেরা করতে পারবে না। তারা চাইলেই স্কুলে বাচ্চাদের ভর্তি করতে পারবে না, হাসপাতালে স্থান পাবে না, নিজেদের জানামত কাজের যায়গায় কাজ নিতে পারবে না। মায়ানমার বিষয়ক ‘এমেনেস্টি আন্তর্জাতিক’এর গবেষকের বরাত দিয়ে রয়টার এ বিষয়ের উল্লেখ করেছে।
রয়টার আরো লিখেছে, মায়ানমারের সংখ্যাগুরু বৌদ্ধরা রোহিঙ্গাদের মায়ানমারের আদি বাসীন্ধা বলে স্বীকার করে নিতে রাজী নয়। যদিও রোহিঙ্গাদের সেদেশের আদিবাসীন্ধা হিসেবে যথেষ্ট চিহ্ন আছে তবুও তাদের মতে এরা মায়ানমারের আদি বাসীন্ধা নয়, বরং এরা বাঙ্গালী! বিভিন্ন সময় এখানে এসেছে মাত্র। এরা স্বার্থসন্ধানী বাংলাদেশী বহিরাগত। এছাড়াও ওই চুক্তি রোহিঙ্গা বাস্তুত্যাগীদের রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেনি।
বহু রোহিঙ্গা নেতা রয়টারের কাছে বলেছেন তারা নাগরীকত্বের স্বীকৃতি ছাড়া ফেরৎ যেতে রাজী নয় এবং ‘জাতীয় প্রত্যয়ন পত্র'(ন্যাশনেল ভেরিফিকেশন কার্ড) তারা মেনে নিতে রাজী নন।
বাংলাদেশের উদ্বাস্তু শিবিরে অবস্থানরত ‘শান্তি ও মানবাধিকারের জন্য আরাকান সোসাইটি’র চেয়ারম্যান মুহিব উল্লাহ রয়টারকে বলেছেন-“আমরা এ “মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্টেন্ডিং’ মানিনা কারণ এতে রাখাইনদের স্বীকৃতি নেই।