জুড়ী উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা জুড়ী স্টেশন রোড। হরিরামপুর, বাছিরপুর, নবনির্মিত জুড়ী থানা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ অত্র এলাকার দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্টেশন রোডের বাসিন্দাদের হাইস্কুল ও কলেজে যাবার একমাত্র রাস্তা এটি। এছাড়াও আশেপাশে অবস্থিত দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাবার অন্যতম প্রধান রাস্তাও এটি৷ ঠিকাদারের খামখেয়ালিতে প্রায় দীর্ঘ ৮/১০ মাস ধরে রাস্তার কাজ বন্ধ। বৃষ্টির দিনে রাস্তার গর্তগুলো প্রায় ছোটখাট পুকুরের আকার ধারন করে। খানাখন্দভরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে নিয়মিত দুর্ঘটনার শিকার হয় অটো রিক্সা, সিএনজি’সহ অন্যান্য যানবাহন। স্টেশন রোড বাসিন্দা অনিক দে বলেন, “বর্ষাকালে হাটু পরিমান কাদা জলের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করতে হয় আর শীতকালে ধুলাবালির কারনে আশপাশে থাকা দায় হয়ে উঠে। অর্থাৎ বছরের বারো মাসই ভোগান্তির শিকার আমরা। এখন রাস্তায় কাজের জন্য খোড়াখুড়ির কারনে রাস্তার আরো বেশী দুরবস্থা। অবিলম্বে রাস্তার অসমাপ্ত কাজ শেষ করার দাবী জানাই আমরা।” এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল ১৯মে বুধবার রাস্তাটি পরিদর্শন করতে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল-ইমরান রুহুল। পরিদর্শন করতে এসে তিনি বলেন “আমি এলজিইডির জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করেছি এই বিষয়টি দেখার জন্য। ইতিমধ্যে ঠিকাদারকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। কিন্ত এই কাজের ঠিকাদার কোনও কিছুকে গুরুত্ব না দিয়ে লোকজনের ভোগান্তি তৈরি করেছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি আজকেও কথা বলেছি, এলজিইডি থেকে বলা হয়েছে তাদের কাজ বাতিলের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ উপজেলা প্রশাসন থেকে জেলা প্রশাসক ও এলজিইডি বরাবর চিঠি দেয়া হবে কাজ বাতিল করে নতুন করে টেন্ডার দেয়ার জন্য।” এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা দ্রুত রাস্তার কাজ শেষ করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানান। |