মুক্তকথা সংগ্রহ।। গরীবির চেয়েও ভয়ঙ্কর বিপদজনক হলো অন্ধ বিশ্বাস। অন্ধ বিশ্বাস মানুষকে পশুতে পরিণত করতে পারে। অন্ধ বিশ্বাস আদিমতাকে ঘিরে ডাল-পালা, পত্র-পুষ্পে প্রস্ফুটিত হয়ে মানুষের সমাজকে পাশবিক করে তোলে। সেই আদিমতা যেনো ভারতকে আস্টে-পৃষ্টে বেঁধে রেখেছে। প্রতিদিনই কোন না কোন একটা আদিমতার ভয়ঙ্করী হৃদয়কাঁপানো ঘটনা ঘটেই চলেছে।
রাঁচি’র কুসংস্কারাচ্ছন্ন পিতা ওঝা বা পীরবাবার কথায় নিজের ৬বছরের শিশুকন্যাকে হত্যা করেছে একটি ছেলে শিশু পাবার তন্ত্র-মন্ত্রের মিথ্যা পৌরাণিক আশায়!
ইণ্ডিয়া টু’ডে-এর এ খবরটি টুইট করেছেন খ্যাতিমান নারীবাদী লেখক তসলিমা নাসরীন। স্বাধীনতার ৮দশক পরেও ভারতের ঝাড়খণ্ডের বহু গ্রামীন অঞ্চল এখনও ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে মুক্তি পায়নি। ভণ্ড ওঁঝা বা পীর বাবার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে ওই পিতা এমন ভয়ঙ্কর মানবতা বিরুধী চরম অন্যায় কাজ করেছেন। অবশ্য জানা গেছে যে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
মূর্খ্য পিতা কালো মেজিককারী ওঁঝা বাবার কথায় নিজের সন্তানকে গলা কেটে হত্যা করেছে একটি শিশুপুত্রের আশায়।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে। রাঁচির লোহার দাগার পেশরার ব্লকে ওই পিতা নিজ কন্যা সন্তানের গলা কেটে দিয়ে তাকে হ্ত্যা করে। ২৬ বছর বয়সের শ্রমজীবী সুমন নেগাশিয়া শ্রমিকের কাজ করেন। তার পীর বাবা তাকে বাণী দিয়ে বলেন যে আশীর্ব্বাদ পুষ্ট ছেলে সন্তান পেতে হলে তাকে অবশ্যই তার কন্যা সন্তানটিকে মেরে ফেলতে হবে। সুমন কন্যার গলাকেটে তাকে হত্যা করেন। এসময় কিশোরী কন্যার মা ঘরে ছিলেন না।
হত্যাকারী পিতা সুমনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং ময়না তদন্তের পর মৃত কন্যার লাশ তার পরিবারের লোকজনের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তান্ত্রিক ওঁঝাকে ধরার জন্য তীব্র পুলিশী অভিযান চলছে। সাথে সাথে চলছে তদন্ত।