মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। গবেষণায় দেখা গেছে বাংলাদেশে ২বছর বয়সের শিশুদের মাঝে খাটো বা খর্বাকৃতি আকারে বড় হয়ে উঠার মাত্রা খুবই প্রবল হচ্ছে। বাংলাদেশে এর শতকরা হার ৩৪ থেকে ৩৬ভাগ। এসব শিশু ২বছর বয়সে যেটুকু আদর্শ লম্বা হওয়ার কথা তা হয় না। আবার একই গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে, সিলেট বিভাগে এই বেটে বা খাটো হয়ে বেড়ে উঠার হার ৪৯শতাংশ। নিঃসন্দেহে এটি মানুষের মনে খুবই আশংকা সৃষ্টির হার। ফলে এটি বলার অপেক্ষা রাখেনা যে সিলেট অঞ্চলে খাটো মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ অবস্থার মূল কারণ যে পুষ্ঠিহীনতা তা এখন প্রমানিত সত্য।
বাংলাদেশের শিশুদের মধ্যে এই অপুষ্ঠিজনিত প্রতিক্রিয়া রোধকল্পে মৌলভীবাজারের রাজনগরে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে একটি প্রকল্প যে কাজকে এলাকার সকলেই “সূচনা প্রকল্প” বলেই জানে ও চেনে। এই প্রকল্পটি ‘সিএনআরএস’এর একটি গ্রামীন আদর্শ খামার পরিচালনা প্রকল্প। ‘সিএনআরএস’ শুধু রাজনগরেই নয় মৌলভীবাজার জেলার আরো কয়েকটি উপজেলায় এই প্রকল্প চালিয়ে আসছে। গ্রামীন নানা রূপের এই প্রকল্পের কাজে ‘সিএনআরএস’কে আরো বেশ কয়েকটি সংস্থা সহায়তা দিয়ে আসছে।
“সূচনা প্রকল্প” জাতীয় এসমূহ আদর্শ খামারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কৃষিকাজে উৎসাহী চাষী বা খামারীদের উন্নত ও নির্ভেজাল প্রকৃতিবান্ধব ফসল উৎপাদনে প্রয়োজনীয় সকল নমুনার সহায়তা দেয়া, যাতে কৃষক বা খামারী স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারে। প্রশিক্ষন থেকে শুরু করে সুস্থ সবল বীজচারার যোগান দেয়া। খামারীদের উৎসাহ অনুযায়ী তাদেরকে ভাগ করে পৃথক পৃথকভাবে হাঁস-মুরগী, সব্জি, মাছচাষ, বেতের কাজ কিংবা গরু-ছাগল পালনে ব্যবস্থা করে দেয়া। এর ফলে এই চাষী ও খামারীগন একদিকে যেমন নিজেদের পুষ্ঠিচাহিদা বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে সক্ষম হবে একই সাথে নিজেদের পরিবারের প্রয়োজনীয় পুষ্ঠিচাহিদা তারা নিজেরাই উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। এ দু’টি সুফলের পাশাপাশি তাদের কাজ-কাম স্বচক্ষে দেখে আশ-পাশের মানুষজন উৎসাহিত হয়ে নিজেরাও নিজে থেকে একাজে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসবে।