‘সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ’-এর
২৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন পরিচালনা পরিষদ
ব্রিটেনে ব্রিটিশ বাঙ্গালী কবি-সাহিত্যিকদের প্রাচীণতম সংগঠন সম্মিলিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ যুক্তরাজ্যের ২৫সদস্য বিশিষ্ট নতুন পরিচালনা পর্ষদের নাম ঘোষনা করা হয়েছে। গতকাল ২৪ নভেম্বর ২০২৪ লন্ডন সময় সন্ধ্যা ছয় ঘটিকায় পূর্বলন্ডনের বাংলাটাউনের ৩৭/সি প্রিন্সলেট ষ্ট্রীটে সংগঠনের অস্থায়ী অফিসে দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ২০২৫-২০২৬ সালের নতুন কমিটির নাম ঘোষনা করেন নির্বাচন কমিশনার লেখক গবেষক বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান গৌস সুলতান।
সংগঠনের সভাপতি কবি ময়নুর রহমান বাবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক কবি এ.কে. এম. আব্দুল্লার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে নতুন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।
কবি মোহাম্মদ ঈকবালকে সভাপতি, উদয় শংকর দুর্জয়কে সেক্রেটারী ও কবি টিভি উপস্থাপিকা হেনা বেগমকে কোষাধ্যক্ষ করে নতুন কমিটির নাম ঘোষনা করেন নির্বাচন কমিশনার দেওয়ান গৗস সুলতান। তিনজন সহসভাপতি হলেন এ.কে. আজাদ ছোটন, কবি ঈকবাল হোসেন বুলবুল, সাংবাদিক রহমত আলী; এসিসটেন্ট সেক্রেটারী দু‘জন হলেন কবি এম. মোশাহিদ খান এবং কবি ও আবৃত্তিকার স্মৃতি আজাদ, সহকারী কোষাধ্যক্ষ নূরুন নবী আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক কবি শামীম আহমদ, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মোহিদ, মিডিয়া সেক্রেটারী কবি-সাংবাদিক জুয়েল রাজ, সাহিত্য সম্পাদক কবি সৈয়দ হেলাল সাইফ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কবি ও সাবেক কাউন্সিলার শাহ সুহেল আমিন।
১৩ সদস্য বিশিষ্ট এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যরা হলেন, সর্বজনাব কবি ময়নুর রহমান বাবুল, কবি এ,এ.এম. আব্দুল্লাহ, গবেষক ফারুক আহমদ, কবি আতাউর রহমান মিলাদ, কবি আবু মকসুদ, নূরুল ইসলাম, কবি কাজল রশিদ, কবি আসমা মতিন, কবি আনোয়ারুল ইসলাম অভি, কবি সাংবাদিক ড. আজিজুল আম্বিয়া, ফয়েজুল ইসলাম ফয়েজনূর, শামসুল হক শাহ আলম ও নূরজাহান রহমান। এখানে উল্লেখ্য যে আগামী ৩১ ডিসেম্বর নতুন কমিটি আনুষ্টানিক ভাবে দায়িত্ব ভার গ্রহন করবে।
সংবিধান লংঘন ও জাতীয় দিবস বাতিলের প্রতিবাদে
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে ‘গৌরব ৭১এর’ প্রতিবাদ সমাবেশ
কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে জুলাই-আগষ্ট অভ্যুত্থানে তান্ডব চালিয়ে চার শতাধিক থানা লুট, অস্ত্র ছিন্তাই ও তিন হাজারেরও অধিক পুলিশ সদস্যকে হত্যা, সংবিধান লংঘন করে জাতির জনকের ছবি অপসারণ, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চসহ জাতীয় দিবস গুলো বাতিল, ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ ও দেশব্যাপী উচ্ছৃঙ্খল জনতার বিচারের প্রতিবাদে ২১ নভেম্বর ২০২৪ বুধবার লন্ডন সময় সকাল ১১টায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউজ অব কমন্সের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ করেছে ‘‘গৌরব ৭১” নামের একটি সামাজিক সংগঠন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন ৫ আগষ্ট আন্দোলনের মুখে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিলে আন্দোলনকারীদের সহায়তায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসেন ড. মোহাম্মদ ইউনুস। এর পর থেকে ব্যবসায়ী-সাংবাদিক, বুদ্ধিজীহবী, রাজনীতিবিদদের উপর দেয়া শুরু হয় হাজার হাজার মিথ্যা মামলা। এসব মিথা মামলায় তাদের (নেতাদের) গ্রেফতার করে মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হচ্ছে।
অন্যদিকে, সংবিধান লঙ্ঘন করে বঙ্গভবন থেকে জাতির জনকের ছবি অপসারণ, ঐতিহাসিক ৭ইমার্চ, ১৫ই আগষ্ট, ৪টা নভেম্বর সহ ৮টি রাষ্ট্রীয় বিদস বাতিল করা হয়েছে। সরকারী চাকুরী থেকে ইচ্ছে মাফিক ছাটাই করা হচ্ছে। বিচার বিভাগ সহ দেশের প্রতিটি অঙ্গনে আন্দোলনকারীদের পছন্দের লোকদের চুক্তি ভিক্তিক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ৫ আগস্টের পর থেকে দেশব্যাপী হিন্দু, বৌদ্ধ , খৃষ্টান সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর চলছে অত্যাচার নির্যাতন। তাদের অত্যাচরের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না আহমদিয়া সম্প্রদায় সহ সুফী সাধুরাও। উচ্ছৃঙ্খল জনতার বিচারের নামে দেশে বিভিন্ন স্থানে অন্যায় অত্যাচার এখন চরমে। গৌরব ৭১এর পক্ষ থেকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন প্রতিবাদকারীরা।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গৌরব ৭১ এর সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা। সাধারন সম্পাদক কাবিরুল ইসলাম কামাল ও সাবেক ছাত্রনেতা সালাহউদ্দিনের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, বিশেষ অতিথি সাবেক ছাত্রনেতা যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ চৌধুরী, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদচৌধুরী ও কুমিল্লা দক্ষিণ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রওশন আলী মাস্টার।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গোলাম ফারুক, সাবেক ছাত্রনেতা জহিরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার সৈয়দ আলী(জিরু), কাউন্সিলর সাহেদ আলী, আব্দুল মান্নান ফকরুল, জাকির হোসেন মাসুদ, মোরসেদ হোসেন, শহীদ চৌধুরী, সামসুল হক কামাল, মিজানুল বারী, মোহাম্মাদ নাসিম, নুরজাহান মিফাতুল নুর, রুহিনা বেগম, রিনা কবির ও নাজমা সুলতানা নার্গিস প্রমুখ।
পূর্ব লন্ডনের আপটন পার্ক এলাকার বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজ হিতৈষী শাহ মদরিছ আলী আর নেই(ইন্না….লি..ল্লাহি.. রাজিউন)। ১৬ নভেম্বর শনিবার লন্ডন সময় বিকেল তিন ঘটিকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিউহ্যাম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি পাঁচ কন্যা এক পুত্র(শাহ মঈনুল হোসেন) সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শাহমদরিছ আলী ষাটের দশকে ব্রিটেনে আগমন করেন। জীবদ্দশায় তিনি ব্যাবসা বানিজ্যের পাশাপাশি দেশে বিদেশে একাধিক জনহিতকরকাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। মরহুমের গ্রামের বাড়ী বৃহত্তর সিলেটের নবীগঞ্জ উপজেলার ৩নং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ঐহিত্যবাহী মোকামপাড়া গ্রামে। সিলেট শহরের কাজিটুলা এলাকার ’’শাহ প্যালেস’’ তার বাসা বাড়ী। তাঁকে লন্ডনেই গার্ডেন অফ পিস মুসলিম সেমেট্রিতেসমাহিত করা হবে বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে। বাংলাদেশে অবস্থান কালীন সময়ে শহরের বাড়ী শাহ প্যালেসেই তিনি থাকতেন।
মরহুমের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক প্রেসিডেণ্ট বিশিষ্ট সাংবাদিক গবেষকমতিয়ার চৌধুরী, সাংবাদিক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, স্বদেশ বিদেশ সম্পাদক বাতিরুল হক সরকার, তার ব্যবসায়িক পাটনার ওবাল্যবন্ধু পূর্বলন্ডনের হ্যানবারি স্ট্রিটের ইস্টার্ন গ্রোসারিজ সুপার মার্কেটের সত্বাধিকারী শেখ আঙ্গুর মিয়া, ইনাতগঞ্জ-দীগলবাক গণদাবিপরিষদের নেতা সাংবাদিক গোলাম কিবরিয়া, মানবাধিকার কর্মি আনসার আহমেদ উল্লাহ পুমুখ । এক শোকবার্তায় তারা মরহুমের বিদহীআত্মার শান্তি কামানা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছন।
মরহুমের রুহের শান্তি কামনায় পরিবারের পক্ষ থেকে সকলের দোয়া চেয়েছেন বাংলাদেশে অবস্থানরত তার শ্যালক লন্ডন বারা অব টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক কাউন্সিলার ব্রিটেনে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের নেতা ও বজ্রকণ্ঠ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও সৈয়দ আখতারুজ্জামান মিজান।