প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ।। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার কুমড়াকাপন গ্রামের আমিরুন বেগমের বিয়ে হয় একই গ্রামের ছায়েদ আহমেদ এর সাথে। তার স্বামী পরিবারের বড় ছেলে সংসারের দায়িত্ব তাকে নিতে হয়। কিন্তু সংসারে অভাব থাকায় কুল কিনারা পায় না। ব্যবসা করবে, কিন্তু পুঁজি নাই। এমতাবস্থায় আমিরুন বেগম শুনতে পায় কুমড়াকাপন গ্রামে মুসলিম এইড বাংলাদেশ নামে একটি এনজিও সংস্থার কথা। তাই উক্ত গ্রামের সমিতিতে ভর্তি হয়ে প্রথমে ১০হাজার টাকা লোন নিয়ে ছোট একটি মুদি দোকান শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০হাজার টাকা নিয়ে বাড়ীর সাথে কিছু ব্রয়লার মুরগী বাচ্চা ক্রয় করেন। কয়েক মাস এভাবে মুরগী পালন ও বিক্রি করতে থাকেন, ভাল লাভ পেতে থাকেন। তার আশা সে মুরগীর খামার বড় করবেন। তাই এভাবে পর্যায়ক্রমে ১২বার লোন নিয়ে ও বিনিয়োগ করে খামারের বড় দুইটি ঘর তৈরী করেন। প্রচুর লাভ হতে থাকে। বিভিন্ন খুচরা দোকানীরা তার নিকট হতে মুরগী ক্রয় করে নিয়ে যায়। মাসে ৩০- ৩৫ হাজার টাকা আয় হতে থাকে। ধীরে ধীরে স্বচ্ছল হয়ে উঠেন আমিরুন। |