মৌলভীবাজার সংবাদদাতা।। পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত মৌলভীবাজার শহরের বেরিরচড় এলাকার বাসিন্দা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মুহিবুর রহমান জিতু (২৮) নিহতের ঘটনায় মৌলভীবাজার মডেল থানায় পৃথক ৪টি মামলা হয়েছে। শনিবার মৌলভীবাজার ডিবি পুলিশের এএসআই নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাগুলো দায়ের করেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি মোঃ আলমগীর হোসেন। দায়েরকৃত মামলাগুলো হচ্ছে অস্ত্র(মামলা নং ২৫), মাদক(মামলা নং ২৪), হত্যা(মামলানং ২৩) ও পুলিশ নাজেহাল(মামলা নং ২২) মামলায় ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
জানা যায়, নিহত মাদক ব্যবসায়ী জিতু ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। সে নিজেকে ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে দাপিয়ে বেড়াত। এ নিয়ে শহরের সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ও কানাঘুষা লক্ষ্য করা গেছে। তবে জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা সে ছাত্রলীগের কেউ নয় বলে জানিয়েছেন। নিহত জিতু ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিল কিনা জানতে চাইলে সোমবার, ২৯শে এপ্রিল রাতে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, এরকম কোন তথ্য আমাদের কাছে নাই। “মাদক ব্যবসায়ীকে কিভাবে বলে ছাত্রলীগ”। এগুলো “ভিত্তিহীন কথা-বার্তা”। এগুলো বলে সরকারকে বিব্রত অবস্থায় না ফেলাই ভাল। তার বিরুদ্ধে থানায় ১২টি মামলা আছে। সে হলো মাদক ব্যবসায়ী এটাই তার পরিচয়।
এদিকে জিতুর মৃত্যুর সংবাদ শুনে স্থানীয়রা একে অপরকে মিষ্টি আপ্যায়ন করে আনন্দ প্রকাশ করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে জিতুর ব্যবহৃত ইংরেজীতে লেখা আহমেদ জিতু ফেইসবুক একাউন্ট থেকে জানা যায়, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ, গত বছরের ২২শে ডিসেম্বর পৌর শহরের ৫নং ওয়ার্ডের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকার প্রচারণায়, মহান বিজয় দিবস সহ বিভিন্ন দিবসে ছাত্রলীগের ব্যানারে তার নেতৃত্বে কর্মসূচী পালিত হয়। ব্যানারে জেলা ছাত্রলীগের নামও ব্যবহার করতে দেখা যায়। এদিকে আহমেদ জিতু প্রোফাইলে জিতুর ছবিতে কমেন্ট করতে গিয়ে “জ্যাক জামিল” নামের এক আইডিদারী বলেছেন “হালা মরছে ভালা অইছে”। কামরুল হাসান নামে আরো একজন লিখেছেন শান্তিতে ঘুমাউ, বালা থাকো”।
উল্যেখ্য, গেল শনিবার ২৭শে এপ্রিল দুপুরে সদর উপজেলার রায়শ্রী এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়দারী মুজিবুর রহমান জিতু। সে সদর উপজেলার বেড়িরচর এলাকার মৃত পরকিত উল্লাহর ছেলে বলে জানা গেছে।