সৈয়দ আজফার
চিকিৎসা প্রদানকারী ডাক্তারের পরামর্শে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম। গাড়ীতে সংগে ছিলাম আমি, ভাবী ও ভাতিজা। আমাকে উদ্দেশ্য করে স্বগোতক্তি করলেন,”দেশে আসলেই কোনো না কোনো ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে, একটু আয়েশে ছুটি কাটাতে পারেনা। “উনার সুস্থতা যে আমাদের আয়েশ সেটা সেদিন মুখ ফোটিয়ে বলতে পারিনি। হাসপাতালে রেখে মৌলবীবাজারে গিয়েছিলাম বাড়ীতে রেখে আসা পাসপোর্ট ও ব্যাগেজ নিয়ে আসার জন্যে। উদ্দেশ্য ঢাকায় দু’দিন থেকে কানাডা ফেরৎ চলে আসব। মৌলবীবাজার থেকেই জানলাম উনাকে পিজিতে নিয়ে আসা হবে, আরো ভালো চিকিৎসার জন্যে। তদুপরি অবস্থাও উন্নতির দিকে। আশ্বস্থ হলাম। ঢাকা এসে উনার অবস্থা, পিজির ব্যাপস্থাপনা ও ডাক্তারসহ উনার সহকর্মীদের সহায়তা দেখে অনেকটা নিশ্চিত হয়েছিলাম উনি এযাত্রায় সেরে উঠবেন। কিছু সুস্থ্য হলে কানাডায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা ও চুড়ান্ত ছিল। হালকা মন নিয়ে উনাকে পিজিতে রেখেই কানাডায় এসে পৌছালাম। পথিমধ্যে শুনলাম আমার ভাতিজি অর্থাৎ উনার বড় মেয়ে লন্ডন থেকে দেশে যাচ্ছে। সে দেশে গিয়েই ডাক্তারদের পরামর্শক্রমে আরো উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বারিধারার একটা প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেল। আমাদের, অন্ততঃ আমার, আশার মাত্রা অনেকটা তিমিরে। কিন্তু আশাটা গুড়িয়ে যেতে চব্বিশ ঘন্টার বেশী সময় লাগেনি। Whatsapp এ ছোট ভাতিজির একটি ম্যাসেজ “he is no loger” আমাদের পাথর করে দিল।
“তোমার চলে যাওয়াটা আমরা কেউই মেনে নিতে পারছি না, আরো বছর তিনেক থেকে যেতে পারলে না?” বুকভরা কষ্টে বলতে হচ্ছে — “ওপারে অনাবিল শান্তিতে থাকো, সকলের যে শান্তি ও নিশ্চয়তা প্রদানের স্বপ্নে অপার সূযোগ থাকতেও নিজেকে জীবনভর অযাচিত কষ্টে ও অবহেলায় রেখেছিলে।”
কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদের ২য় মৃত্যু বার্ষিকীতে
কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদ স্মৃতি সংসদের আয়োজনে অন-লাইন স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কালের যাত্রাপথে চিহ্ন রেখে যায় মানুষ। কখনও চিহ্নগুলো গাঢ় হয়ে ওঠে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পান্থজনেরা মনে রাখি। অনুসরণ করতে থাকি পদাঙ্ক। ২৯ মে ২০২১, শনিবার, কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদের লোকান্তরিত হওয়ার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে তাঁকে স্মরণ করা হয় গভীর শ্রদ্ধার সাথে। আলোচনার পাশাপাশি কবিতা ও গানে অংশ নেন দেশে ও বিদেশে থাকা কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদের অগ্রজ, অনুজ ও সহযোদ্ধাবৃন্দ।
কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদ স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক, সৈয়দ রুহুল আনোয়ার আল মাহমুদ রুহী-র সঞ্চালনায় অন-লাইন স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্মৃতি সংসদের সভাপতি, কমরেড মসুদ আহমদ এবং প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। স্মরণ সভার সার্বিক কারিগরি সহায়তায় ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদ স্মৃতি সংসদের অন্যতম সহ-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু সাদাত আহমদ মণি।
স্মরণ সভার শুরুতে এক মিনিট নীরবতা পালনের ম্যাধমে প্রয়াত কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে কানাডা থেকে যুক্ত শিল্পী মুনমুন দেবের পরিবেশনায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গানের ম্যাধমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদ স্মৃতি সংসদের অন্যতম সহ-সভাপতি এডভোকেট আইনুন নাহার সিদ্দিকা লিপি কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন এবং স্মৃতি সংসদের অন্যতম সহ-সধারন সম্পাদক, কামরুল হোসেন ফাত্তাহ স্মৃতি সংসদের গঠন উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।
স্মরণ সভায় শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, মৌলভীবাজার জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক সুমন কান্তি দাস; বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সভাপতি, এডভোকেট মাসুক আহমদ; বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, মৌলভীবাজার জেলা সংসদের সভাপতি এডভোকেট মিজানুর রহমান টিপু; যুক্তরাজ্য থেকে কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদ স্মৃতি সংসদের অন্যতম সহ-সভাপিত, এ কে এম নুরুর রহিম নোমান; কানাডা থেকে কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদের অনুজ সহোদর সৈয়দ আবু আজফর আহমদ ফেরদৌস, কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদের সহধর্মিণী কাওসার পারভিন ডলি; বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, কমরেড এডভোকেট নিলিমেষ ঘোষ বলু; বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সম্মানিত সভাপতি, কমরেড এডভোকেট মকবুল হোসেন; কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদ স্মৃতি সংসদের কাযর্করী সভাপিত, কমরেড খন্দকার লুৎফুর রহমান এবং কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদ স্মৃতি সংসদের অন্যতম উপদেষ্টা, সৈয়দ আব্দুল মোতালেব রঞ্জু।
এছাড়াও, উত্তরণ খেলাঘর আসরের পক্ষে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা পাঠের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ডোরা প্রেন্টিস; কানাডা থেকে গানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান শিল্পী পুষ্পিতা দেব চম্পা; যুক্তরাজ্য থেকে কবিতা পাঠের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আবু তোরাব চৌধুরী লিটন এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে মিনহাজ আহমেদ সাম্মু একটি উপন্যাসের অংশবিশেষ কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে পাঠ করেন। পরিশেষে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী মৌলভীবাজার জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক, শিল্পী মীর ইউসুফ আলী ও তাঁর সুকন্যা রুবাইয়াত ইউসুফ অর্নির পরিবেশনায় একটি আন্তর্জাতিক গন সংগীতে উপস্থিত সকলে কণ্ঠ মেলানর ম্যাধমে সভা সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠিত অন-লাইন স্মরণ সভায় আরও যুক্ত ছিলেন কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদ স্মৃতি সংসদের সম্মানিত উপদেষ্টা কমরেড আব্দুল মালেক, ডাঃ গোপেশ চন্দ্র দাস, এডভোকেট তবারক হোসেন, আব্দুল ওদুদ চৌধুরী, আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক আব্দুল খালিক, তাজুল মোহাম্মদ ও বনমালী ভোমিক এবং সম্মানিত সদস্য এডভোকেট ডাডলি ডেরিক প্রেন্টিস, কানাডা থেকে নিহারেন্দু দেব যাদু, যুক্তরাজ্য থেকে শামসুল আলম খান শাহীন, আবু সুয়েব তানজাম ও ইটালি থেকে পল্লব তালুকদার।
যুক্ত ছিলেন সিপিবি সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক কমরেড আনোয়ার হোসেন সুমন, সিপিবি সুনামগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক কমরেড এনাম আহমদ, সিপিবি যুক্তরাজ্য শাখার সাধারণ সম্পাদক নিসার আহমদ ও চাকসু’র সাবেক ভিপি সামসুজ্জামান হিরা। যুক্তরাজ্য থেকে যুক্ত ছিলেন ডাঃ রফিকুল হাসান জিন্নাহ, আবিদ আলী, আব্দুল ওয়াহেদ মুশাহেদ, সত্যব্রত দাস স্বপন, ইফতেখার হোসেন পপলু, আব্দুল মান্নান, সৈয়দ আলমগির লাবু, মোস্তফা কামাল বাবলু, সৈয়দ আবু আকবর আহমদ ইকবাল, সৈয়দ মিজানুর রহমান; যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্ত ছিলেন আলীম উদ্দিন, আব্দুল ওদুদ চৌধুরী, আব্দুল্লাহ চৌধুরী; কানাডা থেকে সৈয়দ আবু বকর আহমদ, বিদূৎ দে, সৈয়দ আবু আফসার আহমদ প্রমুখ সহ যুক্ত ছিলেন কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদের শতাধিক অনুসারী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সহযোদ্ধা।
অন-লাইন সভায় যুক্ত থাকা সকলকে কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদ স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ জানানো হয়। সূত্র: নূরুর রহিম নোমান থেকে প্রাপ্ত।
|
মিনহাজ আহমদ শাম্মু
বিদায় কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ
কমিউনিস্ট আদর্শ যখন কারও কাছে বোঝার মতো, মেহনতী জনতার দায় কাঁধে নেবার মতো প্রতিশ্রুতিশীল মানুষের সংখ্যা সংকীর্ণ হতে হতে যখন প্রায় শূণ্যের কোঠায়, শ্রেণিসংগ্রাম যখন বামপন্থা কিংবা প্রগতিশীলতা নামক হেয়ালীপূর্ণ শব্দের মুখভরা বুলিতে পরিণত হয়েছে, তেমন দুঃসময়ে কাস্তে-হাতুড়ির চিহ্নখচিত লাল ঝাণ্ডা অনড়ভাবে ধরে রেখেছিলেন যেসব মুষ্টিমেয় ব্যক্তি, তাদের শীর্ষস্থানীয়দের একজন সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ আর নেই। অপূরণীয় শূন্যতা রেখে অকালে বিদায় নিলেন কমরেড।
মনে পড়ছে, প্রতিক্রিয়াশীলতার বেড়াজালে আবদ্ধ পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পঙ্কিল পরিবেশ থেকে প্রচণ্ড সংগ্রাম করে নিজেকে মুক্ত করে আনা সৈয়দ আবু জাফর আহমদকে। সাফল্যের সাথে নিজেকে, এবং পারিপার্শ্বিকতাকে এক শোষণমুক্ত, শ্রেণিহীন, প্রগতিশীল সমাজের স্বপ্ন দেখাতে সক্ষম হয়েছিলেন। মতের অমিল, অস্থিরতা এবং নানান দ্বন্দ্ব-সংশয়ের কারণ বিভেদ থাকলেও তার সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নের প্রতি আমার গভীর আস্থা ও দৃঢ় প্রত্যাশা ছিলো।
বয়সে প্রায় এক দশকের ব্যবধান নিয়ে আমরা বেড়ে উঠেছি একই পাড়ায়। পাশের পাড়ায় সমবয়সীরা যখন বয়েজ জিন্নাহ ক্লাবে পাকসারজমিন গেয়ে সপ্তাহান্তে তাফসির মাহফিলে বসতেন, তারা তখন ব্যস্ত মাঠের খেলাধুলা, নাটক কিংবা সঙ্গীতানুষ্ঠান আয়োজনে। সারা শহরময় ঘুরে ঘুরে চাঁদা তুলেছেন ক্রিকেট ও ফুটবলের সরঞ্জাম কেনার অর্থ সংগ্রহের জন্য। সাথে ছিলেন সুলতান মনসুর (ডাকসুর সাবেক ভিপি) ভাই, স্বপন(সম্প্রতি প্রয়াত) ও মিলন এবং তাদের চাচাতো ভাই জগলু, সৈয়দ জাফর আহমেদের ছোট দুই ভাই হারুন ও সাজমান, আমার দুই অগ্রজ সাহাব আহমদ বাচ্চু ও মাহতাব আহমদ সাচ্চু, কখনও কখনও সমবয়সী অপর পড়শি ইমরান বখত্। এ গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন সৈয়দ আবু জাফর, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর এবং সাহাব আহমদ বাচ্চু। এই গ্রুপটি পরবর্তিকালে আমাদের শহর মৌলভীবাজারের অপরাপর সমমনা ধারার সাথে মিলিত হয়ে একাকার হয়ে যায় প্রগতিশীল জাতীয় ধারার সাথে।
ইতিহাসের পটপরিবর্তনে স্থানীয় ও জাতীয় প্রেক্ষাপটে আমাদের এই গ্রুপটির প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভূমিকা ছিলো অপরিসীম। একাত্তরের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, তিয়াত্তর ও চুয়াত্তরের লুটপাট এবং দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায়, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে, পরবর্তিকালে সামরিক স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে ইস্যুভিত্তিক বিভক্তি ও বাস্তবতার বিভিন্ন মেরুকরণ ও টানাপোড়েন সত্ত্বেও এই গ্রুপটি সব সময় প্রগতিশীলতার পক্ষে সক্রিয় থেকেছিল এবং আজও সক্রিয় আছে। সমসাময়িক অপর গ্রুপটি তখন যেমন নিজেদেরকে স্বাধীনতা বিরোধীতায়, সামরিক শাসন ও সামরিক বাহিনির সমর্থনপুষ্ঠ স্বৈরশাসন ও প্রতিক্রিয়াশীলতার পক্ষে নিয়োজিত রেখেছিল, এখনও তেমনি আছে বলে আমার আশঙ্কা হয়।
আজ কমরেড সৈয়দ আবু জাফরের মৃত্যুসংবাদটি জানার পর একে একে মনে পড়ছে আমাদের সেই ইয়াং স্টার ক্লাবের কথা, যেখানে আমরা অনেকেই ছিলাম সদস্য, আর সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ ছিলেন শীর্ষ ইয়াং স্টার। মনে পড়ছে খেলাঘর, ছাত্র ইউনিয়ন, ন্যাপ, কম্যুনিস্ট পার্টি পরিচালিত যৌথ লঙ্গরখানায় হাজার হাজার নিরন্ন সারিবদ্ধ মানুষের কথা। মনে পড়ছে আর্মি দুঃশাসনকালে ‘বিষণ্ণ বসন্ত’ নামে একুশে সংকলন ছাপতে গিয়ে আচমকা সৈয়দ আবু জাফর, অজয় বিশ্বাস, স্বপন দে-এর গ্রেফতার হওয়ার কথা, গভীর রাতে আমাদের বাসায় আর্মি ও পুলিশী হামলার কথা।
আমার কৈশোরে দেখা সেসব গা ছমছম করা ঘটনাবহুল দিনগুলো আমাদের শত সমস্যায় জর্জরিত দেশটিকে একটি শোষণমুক্ত শ্রেণিহীন মুক্ত প্রগতিশীল সমাজের স্বপ্ন দেখিয়েছে, সকল পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত থাকার আদর্শিক শিক্ষা দিয়েছে। আমার বিশ্বাস, এই স্বপ্নটিই দেশকে চরম বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছে, করছে, এবং আগামীতেও করবে।
লাল সালাম তোমাকে কমরেড সৈয়দ আবু জাফর, যেখানেই থাকো, লাখো শোষিত-বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষদের মুক্তির স্বপ্নে বেঁচে থাকবে তুমি।
নূরুর রহিম নোমান
|