1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
হয়ে গেল মণিপুরী মহারাসলীলা, স্কাউটের মহা তাঁবু জলসা আর পিতা-পুত্র ধরা পড়লেন - মুক্তকথা
শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৯ অপরাহ্ন

হয়ে গেল মণিপুরী মহারাসলীলা, স্কাউটের মহা তাঁবু জলসা আর পিতা-পুত্র ধরা পড়লেন

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শনিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৫৯১ পড়া হয়েছে

প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ।। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পাঁচ দিনব্যাপী ১৫৯তম স্কাউট ইউনিট লিডার ও ১৬০তম কাব স্কাউট লিডার বেসিক কোর্স শেষে মহা তাবু জলসা অনুষ্টিত হয়ে গেল। বিগত মাসের ৬ নভেম্বর, বুধবার  রাত সাড়ে ১০টায় আহমদ ইকবাল মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে মহা তাঁবু জলসা অনুষ্ঠিত হয়।

তাবু জলসায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান। ছবি: মুক্তকথা

কমলগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম তাকুলদারের সভাপতিত্বে ও উপজেলা স্কাউট কমিশনার মোশাহিদ আলীর উপস্থাপনায় অনুষ্টিত সমাপনী অনুষ্টান ও তাবু জলসা অনুষ্টানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরী, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক রিয়াজুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. হেলাল উদ্দীন, স্কাউট সিলেট অঞ্চলের কোষাধ্যক্ষ শ,ম দানিয়াল, জেলা স্কাউট সম্পাদক ফয়জুর রহমান প্রমুখ। বক্তব্য রাখেন কাব কোর্সের লিডার বদরুন নাহার এলটি, কমলগঞ্জ প্রেসক্লাব সম্পাদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা শেষে অতিথিরা মহা তাঁবু জলসার মশাল প্রজ্জলন করেন। প্রশিক্ষনগ্রহনকারী কাব ও স্কাউট লিডাররা মহা তাঁবু জলসা অনুষ্ঠানে প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলন, নাটক, ধামাইল নৃত্য, সংগীত ইত্যাদি পরিবেশন করেন। পাঁচ দিনের দুটি প্রশিক্ষণ কোর্সে ৬০জন শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রশিক্ষণ অংশ গ্রহন করেন।

মণিপুরী মহারাসলীলা উৎসব

বর্ণাঢ্য আয়োজনে মণিপুরী মহারাসলীলা উৎসব ও মেলা শেষ হলো আদমপুর ও মাধবপুরে। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কার্তিকের পূর্ণিমা তিথিতে ঢাকঢোল, খোল-করতাল আর শঙ্খধ্বনি ও আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে কঠোর নিরাপত্তা আর বর্ণাঢ্য আয়োজনে মণিপুরী সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব “মণিপুরী মহারাসলীলা” হয়ে গেল বিগত মঙ্গলবার। বুধবার ঊষালগ্নে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে রাখালনৃত্যের মধ্য দিয়ে কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর জোড়া মন্ডপ প্রাঙ্গনে বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী সম্প্রদায়ের ১৭৭তম ও আদমপুরের মণিপুরী কালচারাল কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে মনিপুরী মী-তৈ সম্প্রদায়ের ৩৪তম এবং নয়াপত্তন যাদু ঠাকুর মন্ডপ প্রাঙ্গণে ৪র্থ বারের মতো মহারাসোৎসব পালিত হয়ে গেল।

মাধবপুর শিবাবাজার উন্মুক্ত মঞ্চ প্রাঙ্গণে মহারাসলীলা উপলক্ষে রাখাল নৃত্য। ছবি: মুক্তকথা

তুমুল হৈ-চৈ, আনন্দ-উৎসাহ, ঢাক, ঢোল, মৃদঙ্গ, করতাল এবং শঙ্খধ্বনির মধ্যদিয়ে রাধা-কৃষ্ণের লীলাকে ঘিরে মঙ্গলবারের দিনটি বছরের অন্য সব দিন থেকে ভিন্ন আমেজ নিয়ে আসে কমলগঞ্জ উপজেলাবাসীর জীবনে। বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাস উৎসবে প্রতিবারের মত এবারও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। উৎসব উপলক্ষে বসেছিল রকমারি আয়োজনে বিশাল মেলা। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার ভক্তবৃন্দসহ দেশী-বিদেশী পর্যটকের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে কমলগঞ্জের মণিপুরী গ্রামগুলো। ভিড় সামলাতে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হিমশিম খেতে দেখা যায়।
দামোদর মাস খ্যাত কার্তিক পূর্ণিমা তিথিতে গৌড়িয় বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী মণিপুরীদের প্রধান ধর্মীয় মহোৎসব শ্রীশ্রী কৃষ্ণের মহারাসলীলা অনুসরণ। কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর জোড়া মন্ডপ প্রাঙ্গনে মণিপুরী মহারাসলীলা সেবা সংঘের উদ্যোগে বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরী সম্প্রদায়ের ১৭৭তম শ্রী শ্রী কৃষ্ণের মহারাসলীলানুসরন উৎসব উপলক্ষে মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে শুরু হয় রাখাল নৃত্য (গোষ্ঠলীলা)।
অপরদিকে রাসোৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে আদমপুর মণিপুরী কালচারাল কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণ ও নয়াপত্তন যাদু ঠাকুর মন্ডপ প্রাঙ্গণের মন্ডপে মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় রাখাল নৃত্য। রাখাল নৃত্যের বিভিন্ন ধাপে রাধাকৃষ্ণের শৈশব, কৈশোর ও যৌবনকালের বিভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে। নিজস্ব পোশাকে সজ্জিত হয়ে মণিপুরী তরুণ-তরুণীরা এতে অংশ নেন। সন্ধ্যায় গুণীজন সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এরপর রাত ১২টা থেকে শুরু হয়ে শনিবার ভোর পর্যন্ত মণিপুরী নৃত্যের ধ্রুপদ ভঙ্গিমায় রাধাকৃষ্ণের রাসনৃত্য চলে।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শৈশব এবং শ্রীমতি রাধিকার সঙ্গে প্রেমের কাহিনী নিয়ে রাসোৎসবের আয়োজন। মাধবপুরের শিববাড়ি থেকে শুরু করে গ্রামের তিনটি মণ্ডপসহ পুরো এলাকা সেজেছে বর্ণিল সাজে।
রাসলীলা উপলক্ষে কমলগঞ্জের তিনটি স্থানে মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় খৈ, মুড়ি, বাতাসা, ছোটদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা, পোশাক-পরিচ্ছদ, ঘর সাজানোর বিভিন্ন উপকরণ ও প্রসাধনী, শ্রীকৃষ্ণের ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির ছবিসহ বাহারি পণ্য শোভা পায়। এ ছাড়া মাধবপুর ললিতকলা একাডেমির সামনে বসেছিল মণিপুরী সম্প্রদায়ের ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে বইপত্রের কয়েকটি স্টল।

মণিপুরী মহারাসলীলা উপলক্ষে আদমপুর মণিপুরী কালচারাল কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে রাখাল নৃত্যের দৃশ্য। ছবি: মুক্তকথা

মহারাসলীলা সেবা সংঘের সাধারণ সম্পাদক শ্যাম সিংহ জানান, মাধবপুর জোড়ামন্ডপে রাসোৎসব সিলেট বিভাগের মধ্যে ব্যতিক্রমী আয়োজন। এখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের আগমন ঘটে। বর্ণময় শিল্প সমৃদ্ধ বিশ্বনন্দিত মণিপুরী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসবে সবার মহামিলন ঘটে। মণিপুরী ললিতকলা একাডেমির গবেষণা কর্মকর্তা প্রভাস সিংহ জানান, এখানে সব ধরনের সুবিধা বিদ্যমান থাকায় এটি উৎসবে রূপ নিয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উৎসবে যোগ দিতে হাজার হাজার ভক্ত অনুরাগী এখানে এসেছেন।
সাদা কাগজের নকশায় নিপুন কারু কাজে সজ্জিত করা হয় মন্ডপগুলো। রাসোৎসব উপলক্ষে শুক্রবার মহারাত্রির পরশ পাওয়ার জন্য হাজার হাজার মানুষের মিলনতীর্থে পরিনত হয় মাধবপুর জোড়া মন্ডপ আর আদমপুরের মন্ডপগুলো। মন্ডপে মণিপুরী শিশু নৃত্যশিল্পীদের সুনিপুন নৃত্যাভিনয় রাতভর মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের। মণিপুরী সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরাও মেতে উঠে একদিনের এই আনন্দে। মহারাত্রির আনন্দের পরশ পেতে আসা দেশের বিভিন্ন স্থান হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোরসহ নানা পেশার মানুষের পদচারণায় সোমবার সকাল থেকে মুখরিত হয়ে উঠে মণিপুরী পল্লীর এ দুটি এলাকা।
অতীতের সেই ধারাবাহিকতার সূত্র ধরেই কোন রূপ বিকৃতি ছাড়াই কমলগঞ্জে উদযাপিত হয়ে আসছে মনিপুরী সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শ্রী কৃষ্ণের মহা রাসলীলা। ঢাক, ঢোল, মৃদঙ্গ, করতাল এবং শঙ্খ ধ্বনির সঙ্গে ব্যাপক আনন্দ উল্লাসের মধ্যদিয়ে রাধা-কৃষ্ণের লীলাকে ঘিরেই এ দিনটি বছরের অন্য সব দিন থেকে ভিন্ন আমেজ নিয়ে আসে কমলগঞ্জ উপজেলাবাসীর জীবনে।

কমলগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে পিতা-পুত্র আটক

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে পুলিশের বিশেষ অভিযানে দীর্ঘদিন ধরে ডাকাতি মামলায় (জিআর মামলা নং- ১৪, তারিখ  ১৯/১২/২০১২ইং) পলাতক আসামী কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের পরানধর গ্রামের জালাল মিয়ার পুত্র আয়মন হোসেন ইমনকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ। কমলগঞ্জ থানার এস আই চম্পক দাম ও এস আই ফয়েজ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে তার বোনের বাড়ী থেকে রাত অনুমান দেড়টার দিকে আটক করা হয়। আটক আয়মন হোসেন ইমনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত ২০১২ সালে ১৯ ডিসেম্বর সিলেটের দক্ষিন সুরমা থানার ডাঃ তাহমিনা খালেক এর বসতবাড়ীতে অজ্ঞাতনামা একদল ডাকাতদল রামদা, ডেগার, দুইনলা বন্দুক, রিভলবারসহ অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণের গয়না ও মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ডাঃ তাহমিনা খালেক বাদী অজ্ঞাতনামা ডাকাতদলকে আসামী করে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে সিলেট মেট্রোপলিটন আদালতে (মামলা নং- ১১৫৭/১৯ইং) প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও প্রতারণা মামলায় (ডাকাতি মামলায় পলাতক আসামী আয়মন হোসেন ইমন এর পিতা) মৃত চান মিয়ার পুত্র জলাল মিয়া (৫২) কে আটক করেছে পুলিশ। কমলগঞ্জ থানার এস আই উত্তম কুমারের নেতৃত্বে দলবল সাথে নিয়ে জালাল মিয়ার মুন্সিবাজারস্থ ব্যবসা প্রতিষ্টান থেকে তাকে আটক করা হয়। জালাল মিয়াকে একই ভাবে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়. প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে জালাল মিয়ার পুত্র শিবির কর্মী সোহেল রানা সুমন গত ৯ সেপ্টেম্বর সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক হন। বেশ কিছু দিন হাজতে থাকার পর জালাল মিয়া লিখিত অঙ্গিকারনামা দিয়ে ছেলেকে জেল থেকে বের করে আনেন। এরপর অঙ্গিকারনামার মেয়াদ শেষ হলেও জালাল মিয়া কোন যোগাযোগ না করে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করেন। সিলেট জৈন্তাপুর উপজেলার ধলইপাড়া গ্রামের মৃত এমদাদ আলীর পুত্র আব্দুর রশিদ সিলেট মেট্রোপলিটন আদালতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT