২৫তম ইউরোকাপ ক্যারম প্রতিযোগিতায় দলীয়ভাবে বৃটেন শ্রেষ্টত্বের শিরোপা পেয়েছে। আবার দু’জনি খেলায়ও বৃটেনই বিজয়ীর স্থান দখল করে নিয়েছে। ক্যারমের একজনি খেলায় এবার পোলাণ্ডের বারদেক সাসিনেস্কি বিজয়ীর শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছেন ছয়বারের ইউরোকাপ ক্যারম বিজয়ী ফ্রান্সের পিরে দোবাইসকে হারিয়ে।
![]() |
এ সপ্তাহেই সম্পন্ন হয়ে গেলো বর্ণিল আয়োজনের ২৫তম ইউরোকাপ ক্যারম খেলা। “ইউনাইটেড কিংডম ক্যারম ফেডারেশন”-এর আয়োজনে ৪আগষ্ট থেকে শুরু করে ৬আগষ্ট পর্যন্ত টানা ৩দিন ব্যাপী এ খেলায় স্বাগতিক দেশ বৃটেনসহ ইউরোপের মোট ১০টি দেশ অংশ গ্রহন করে। ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমিল্টন সেন্টারের ‘স্পোর্টস হল’-এ টানা ৩দিন চলে দু’জনি ও চারজ’নি খেলার প্রতিযোগীতা। এবারের এ প্রতিযোগীতায় বৃটেনসহ ইউরোপের মোট ১০টি দেশের ১০০জন খেলোয়াড় অংশ গ্রহন করেন।
![]() |
সবচেয়ে বেশী প্রতিযোগী অংশ নেন স্বাগতিক দেশ বৃটেনের এবং এরই পাশাপাশি জার্মানী, ইটালি ও ফ্রান্স থেকেও প্রচুর প্রতিযোগী খেলায় অংশ নেন। সমাপনী দিবসে ব্রুনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমিলটন সেন্টারের নিউটন হলে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
![]() একক খেলায় বিজয়ী পোলাণ্ডের বারটস সাসিনস্কি। ছবি: মুক্তকথা |
অন্তর্জালে উইকিপিডিয়া ঘেঁটে জানা যায় যে, ক্যারাম আবিষ্কার দক্ষিণ এশিয়ায় তথা মূলতঃ ভারতে। অবশ্য এ নিয়ে বিতর্কও রয়েছে। অনেকেই বলেন, খেলাটা প্রথম শুরু হয় শ্রীলংকায়। আবার অন্য অনেকেই বলেন, ভারতীয়রাই এক সময় খেলাটা ছড়িয়ে দেয় শ্রীলংকায়। পর্তুগালের কথাও কেউ কেউ বলেন।
![]() একই পরিবারের পাঁচজন। সকলেই খেলতে এসেছেন। দাঁড়িয়ে ডানে বাবা ডিক্স প্রেমসিং প্রসাদ, বায়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে রাফেল ডিক্স, চশমা চোখে মা জেইন ডিক্স, ডানে ১০ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে রাসেল ডিক্স ও নিচে পরিবারের কনিষ্ঠতম কন্যা প্রিসসিলা ডিক্স। ছবি: মুক্তকথা |
অনেকটা চিন্তার বিষয় হলো যে ভারতে ক্যারমের সূচনা বলা হয়; আশ্চর্যের বিষয় যে এই সেদিন ১৯৮৮ সালে ভারতবর্ষের চেন্নাইতে আন্তর্জাতিক ক্যারম ফেডারেশন গঠিত হয়েছিল বলে উইকিপিডিয়া লিপিবদ্ধ করেছে। তারা আরও লিখেছে “বি বাঙ্গারু বাবু”নামে একজন ফেডারেশন গঠনের এ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাঁকে ভারতের ক্যারম খেলার জনক বলা হয়।
![]() চলছে একক ক্যারম প্রতিযোগীতা। ছবি: মুক্তকথা |
উল্লেখ যোগ্য যে এবারের ২৫তম এই আয়োজন করেছেন যে সংগঠন “ইউনাইটেড কিংডম ক্যারম ফেডারেশন” তাদের কার্যকরী পরিষদের সভাপতি হলেন একজন বাঙ্গালী তরুণ নজরুল ইসলাম(কয়েস)। খেলাধূলার পাশাপাশি নজরুল ইসলাম একজন সফল রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীও বটে। লণ্ডনের বাংলা টিভি চ্যানেল ‘আইওএন’ ছিল এবারের আয়োজনের মিডিয়া পার্টনার।