লন্ডন: বৃহস্পতিবার, ২০শে পৌষ ১৪২৩।। ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ববিদগন ৪ হাজার বছর আগের তামার একটি মুকুট আবিষ্কার করেছেন উত্তর প্রদেশের চন্দয়ন গ্রামে। ২০১৫ সালের ১১ই জানুয়ারী ‘প্রাচীন উৎপত্তি’ অনলাইন এ খবরটি প্রথম প্রকাশ করে। এ মুকুট পাওয়া থেকে তাদের ধারনা যে এটি প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতারই একটি উদাহরণ।
ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব গবেষণার প্রধান পরিচালক ড: রাকেশ তেওয়ারী বলেন এটি ভারত কিংবা পাকিস্তানের প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতার নিদর্শন এলাকায় পাওয়া একমাত্র দ্বিতীয় মুকুট আবিষ্কৃত হল। এর আগে উত্তর-পূর্ব ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের ফতেহাবাদ জেলায় প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতার অপর একটি ক্ষেত্র থেকে একটি রৌপ্য মুকুট আবিষ্কৃত হয়েছিল।
ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ও চন্দয়ন গ্রামের খনন কাজের পরিচালক ড: এ কে পান্ডে বলেন, “যে ব্যক্তির মাথায় ওই মুকুট পড়া ছিল তিনি নিশ্চয়ই সেই সময়কার সমাজের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন।” তেওয়ারী বলেন, ওই মুকুট কোন শাসকের ছিল কি-না তা নিয়ে এখন কিছু বলা খুব বেশী আগাম হয়ে যাবে। “আমরা এখনও জানিনা প্রাচীন সেই আমলে এমন ধরনের মুকুট মানুষ রাজমুকুট হিসেবে ব্যবহার করতো না-কি সাধারণ মাথাবরণ হিসেবে ব্যবহার করতো।”
মহামূল্যবান দামী ‘কারলেনিয়ান’ ও ‘ফিয়ান্সবীড’ পাথর দিয়ে সাজানো আবিষ্কৃত ওই তাম্র মুকুট, একটি মানবমুন্ডে বসানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। মাটি খননকারীরা বিগত আগষ্ট মাসে যখন ইট প্রস্তুতের জন্য মাটি ঠিকঠাক করছিল তখনই এই মুকুটটি বের হয়ে পড়ে। এই আবিষ্কার সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছিল তখনই। আর ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব গবেষণা’ তখনই বিষয়টির উপর নজর দেয় এবং ডিসেম্বরেই খননকাজ শুরু করে।
তেওয়ারী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হলো একটি উদ্ধার অভিযান চালিয়ে দেখা কি পাওয়া যেতে পারে একটি শেষ হয়ে যাওয়া অতি প্রাচীন কংকালসার খনন এলাকায়।
একই খনন গভীরতায় নতুন এই খননের সময় পশু কংকাল এবং মাটির পাত্রও পাওয়া গিয়েছিল। তবে পুরানো খনন এলাকা থেকে প্রায় ৬৫ফুট দূরে। এতে বুঝা যায় যে কংকাল পাওয়া গেছে সম্ভবত: তারই অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পাদনে পশুবলি হয়েছিল। সেই সব দিনে এগুলো প্রচলিত ছিল বলে মি: পান্ডে বলেন।
মি: পান্ডের মতে, এই আবিষ্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই প্রথম প্রচীন সিন্ধু সভ্যতার জনবসতির খবর পাওয়া গেল।(এন অরিজিন থেকে)