আমেরিকা শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে।
‘কোনো বিধান নেই…’:
আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে এমন জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।
“যাদের প্রয়োজন, তাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের গর্ব করার মতো ইতিহাস রয়েছে। তবে, কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় বা অস্থায়ী আশ্রয় নেয়ার জন্য যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়ার কোনও বিধান নেই।”
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর মঙ্গলবার সকালে ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছে, ব্রিটিশ অভিবাসন আইন অনুযায়ী, আশ্রয় বা অস্থায়ী আশ্রয়ের জন্য কাউকে ভ্রমণ করার অনুমতি দেয় না দেশটির ইমিগ্রেশন আইন।
যুক্তরাজ্যের শ্রমিকদলীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে হলে প্রথমে তিনি(হাসিনা) যে দেশে নিরাপদে পৌঁছেছেন- সেখানেই আশ্রয়ের আবেদন করতে হবে।
বাংলাদেশের পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে দিল্লিতে অবস্থান করছেন।
এনডিটিভিকে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের একজন মুখপাত্র উপরোল্লিখিত কথা বলেন। তিনি আরো জানান, যাদের আন্তর্জাতিক আশ্রয়ের প্রয়োজন– তাদের প্রথম নিরাপদ দেশে আশ্রয় দাবি করা উচিত – এটি নিরাপত্তার দ্রুততম পথ।” তবে কিছু সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, এসবেরপরেও শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক আশ্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান ৭৬ বছরের শেখ হাসিনা। তিনি ঢাকা থেকে সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে ভারতে যান। হেলিকপ্টারটি ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় অবতরণ করে। এরপর সেখান থেকে তাকে উত্তর প্রদেশে ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি সামরিক বিমানে করে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার সাথে বৈঠক করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
এসময় এনডিটিভি জানতে পারে, বিমানে জ্বালানি ভরার পর তিনি লন্ডনে যাবেন। কিন্তু, পরে তাকে ভারতেরই একটি অজ্ঞাত সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এনডিটিভি তাদের সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ভারতের গোয়েন্দা বাহিনিগুলোর ‘সুরক্ষামূলক হেফাজতে’ তাকে রাখা হয়েছে। হাসিনার সাথে তার বোন শেখ রেহানাও আছেন, যিনি যুক্তরাজ্যের একজন নাগরিক।এটি হাসিনার জন্য যুক্তরাজ্যে আশ্রয় পাওয়ার সহায়ক হতে পারে। তাছাড়া, শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকী যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার দলের একজন আইনপ্রণেতাও।
হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক প্রধান হিসেবে দিল্লিতে অবস্থান করছেন।