সৈয়দ আকমল মাহমুদ। সংক্ষিপ্ত ডাক নাম বসন। তার ছাত্রজীবনের পরিচিত মহলে তিনি বসনভাই বলে এখনও পরিচিত। নির্ভেজাল নিরোহঙ্কারী বন্ধুবৎসল একজন শিক্ষক। শুধু শিক্ষক বললে কিছুটা তার কম বলা হয়। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি আগাগোড়া একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ। তিনি তাবলীগ জামাতের অনুসারী। তাবলীগ জামাত করতে গিয়ে তার কোন প্রতিদ্বন্দ্বীতা নেই পদ পাওয়ার, নেই কোন দলাদলিতে। বলা যায় একজন নির্ভেজাল ভদ্রলোক। অথচ চাইলে পারতেন সমাজের অনেক অঙ্গনেই পায়চারী করতে।
তার আপন বড়ভাই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পুলিশের ডিআইজি ছিলেন। আমাদের দেশে এমন পদধারী মানুষের পরিবার পরিজন সকলে না হলেও অনেকেই কত কিছু করেন। নিশ্চয়ই এখানে সেসবের ব্যাখ্যার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে করিনা।
শুধু বসন ভাই নয় তাদের গোটা পরিবারই সমাজে চলমান কোন ধরণের উশৃঙ্খলতা বা দূর্নীতির সাথে কষ্মিনকালে জড়িত ছিলেন না এখনও নেই। তাদের এক ভাই যিনি আর এই ইহধামে নেই প্রয়াত সৈয়দ আফসার মাহমুদ পেশায় ডাক্তার ছিলেন এবং মৌলভীবাজার জামাতের একজন খাঁটী ধর্মীয় অনুসারী ছিলেন। জামাতের হয়ে কোন সময়েই তিনি পাকিস্তানীদের পক্ষে কাজ করেছেন, আলবদর-আলসামস গঠনে কোন ভূমিকা রেখেছেন কিংবা পরবর্তীতে জামাতের যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থনে কোন উদ্যোগী ভূমিকা রেখেছেন এমন কোন নজির নেই এমনকি তার জীবদ্দ্বশায় এমন ধরনের কোন অভিযোগও কেউ আনেননি। যতদূর মনে পড়ে তিনি আন্তরিকভাবে ধর্মপ্রান মানুষ হিসেবে জামাতের হয়ে কাজ করেছিলেন কোনরূপ নাশকতা চিন্তায় তাকে দেখতে শুনিনি। তাদের অপর ভাই সৈয়দ আনোয়ার মাহমুদ মৌলভীবাজার দেওয়ানী আদালতে উকালতি পেশায় আছেন।
অধ্যাপক আকমল মাহমুদ সে ধরনের একটি পরিবারের মানুষ।
সৈয়দ আকমল মাহমুদ লিখেন। একজন ভালমানের লেখক তিনি। ফেইচবুক ব্যবহার করেন।
একজন তবলীগ পন্থি মানুষ হয়েও আমাদের বুদ্ধিজীবী হ্ত্যা দিবসের সময়ে তিনি তার ফেইচবুকে একটি কবিতা লিখেছেন। তার সে কবিতা দুনিয়া কাঁপানো কিছু না হলেও, তার কবিতায় পাক হানাদর ও সমর্থকদের নির্মমতার জ্বলন্ত অগ্নিচোখ ফুটে উঠেছে যেমন তেমনি নিরপরাধ নিরীহ মানুষের প্রতি লেখকের হৃদয় উজার করা ভালবাসার প্রতিচ্ছবি বিমূর্ত হয়ে উঠেছে। এই কবিতাখানিই আজ তার বিষয়ে এতোকিছু লিখার ইন্ধন যুগিয়েছে।