1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সমকালীন ঘটনা কি ঘটেছিল? - মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ পূর্বাহ্ন

আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সমকালীন ঘটনা কি ঘটেছিল?

মুক্তকথা প্রতিবেদন॥
  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ১ এপ্রিল, ২০২১
  • ৮১৩ পড়া হয়েছে

তৈমুর লং। ছবি: টুইটার

মুক্তকথা প্রতিবেদন॥ উনিশশ’ একচল্লিশ সনের ৬মে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন জোসেফ ষ্টালিন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই ১৯৪১এর ২০জুন এমন এক ভয়াবহ নির্দেশ দিলেন সোভিয়েত প্রত্নতত্ববিদ ও নৃবিজ্ঞানী মিখাইল গেরাসিমভকে। এমন কাজের নির্দেশ, যা সে সময়ের সোভিয়েত ইউনিয়নের সকলেরই ছিল চিন্তার বাইরে। ঘটনাটি ষ্টালিন নিজেও জানতেন তারপরও তিনি এমন নির্দেশ দিলেন। নির্দেশের সে বিষয়বস্তু ছিল বিখ্যাত সব মানুষদের কবর থেকে লাশ তুলে কঙ্কাল দেখে মুখের প্রতিচ্ছবি অংকন। এটা প্রথম করেছিলেন সোভিয়েত প্রত্নতত্ববিদ ও নৃবিজ্ঞানী মিখাইল গেরাসিমভ। এ ছিল তার নির্দেশ কিন্তু কিই বা ছিল তার ভয়বহতা!
সময়টা ১৯৪১সাল। প্রধানমন্ত্রী ষ্টালিন দেশের নৃবিজ্ঞানীদের এই ভয়ঙ্কর নির্দেশ দিলেন যে মাটি খুঁড়ে তৈমুর লং এর লাশ কবর থেকে তুলতে হবে। কয়েক শত বছর ধরে যার দেহ সুউচ্চ মিনার বিশিষ্ট শান্ত সুন্দর কবরে শায়িত আছে, কবর থেকে সে লাশ তুলে ফেলতে হবে।
অবশ্য ইতিহাস বলে তৈমুর লং ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ দয়ামায়াহীন যোদ্ধা। তিনি তার সাম্রাজ্য গঠন করতে গিয়ে সে সময়ের বিশ্বময় এক বিভিষিকাময় কালো অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন। তার সৃষ্ট সাম্রাজ্য তুরস্ক থেকে শুরু করে পশ্চিমে ইরাণ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। ইতিহাস বলে তিমুর তার যুদ্ধাভিযানে ১কোটি ৭০লাখ মানুষকে নির্দয়ভাবে হত্যা করেছিলেন। যার ফলে ইতিহাসে তিনি একজন নিষ্ঠুর যোদ্ধা বলে বিবেচিত।
কথিত আছে, একদা তিমুর তার যুদ্ধাভিযানের পথে উত্তর ভারতে তার বাহিনী দ্বারা নিহত মানুষের মাথার খুলি বহন করে করে পরিশ্রান্ত হয়ে অবশেষে তিনি নির্দেশ দিলেন সকল মাথার খুলি নামিয়ে একটি পিড়ামিড তৈরী করতে। তাই করাও হয়েছিল উত্তর ভারতে। গুণে দেখা গিয়েছিল মোট ৭০ হাজার মানুষের মাথা। সাধারণ নিরীহ মানুষের জন্য কি ভয়াবহ ছিল সে দিনগুলো।
সেই তৈমুর লং-এর লাশ কবর খুঁড়ে তোলার হুকুম শুনে কবর মিনারের আশ-পাশের লোকজন তো ভয়ে কম্পমান। তারা রুশিয়ান সরকারকে হুশিয়ার করে দিলেন তিমুরের লাশ ও কবরের সাথে জড়িয়ে কিংবদন্তী হয়ে থাকা অভিশাপের কথা জানান দিয়ে। কিন্তু জোসেফ ষ্টালিন কি আর সেসব কথায় কান দেয়ার মানুষ। তিনি এসব দৈববাণীতে অযৌক্তিক অন্ধবিশ্বাস এককথায় কুসংস্কার বলে উড়িয়ে দিয়ে হুকুম তামিল করার কড়াকড়ি নির্দেশ দিলেন।
তদানিন্তন সোভিয়েত, কবর খুঁড়ে লাশ তোলার জন্য কবরমিনারের দরজা খুললেন। কপাট খোলামাত্র সকলের নাসিকায় যে গন্ধ লাগলো তাতে রীতিমত সকলেরই জ্ঞানহীন হয়ে পড়ার অবস্থা। তারিখটি ছিল ১৯৪১ সালের ২২ জুন। কফিনের ঢাকনা খোলার সাথে সাথে সুগন্ধ কর্পূর, রজন ও গুগগুল ধুনার সুবাসিত গন্ধ যা মৃত দেহ তাজা রাখার সুবাসিত ঔষধাদির গন্ধ ঘরময় মৌ মৌ করতে লাগলো।
ঢাকনা কপাট খোলার সাথে সাথে নাকে গন্ধ লাগার ভয়ভাব দূর হবার আগেই চোখে যা অশুভ অমঙ্গলের কথা ধরা পড়লো তা ইতিহাস হয়ে আছে আজো। ভয়ভীতি মাখা কিছু কথা দেয়ালে খোদাই করে লিখা-
“তিনি যে-ই হোন না কেনো
যিনি আমার কবর মিনারের দরজা খুলবেন
তিনি আহ্বান জানাবেন আমার চেয়েও ভয়ানক সেই জবরদখলকারীকে।”
সোভিয়েতের দ্বারা কবরমিনারের কপাট খোলার দু’দিন পরই নাজি জার্মানী সোভিয়েত ইউনিয়নের ষ্টালিনগ্রাদ আক্রমণ করে বসে, নিয়মানুযায়ী যুদ্ধের কোনরূপ পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই। সোভিয়েত রুশিয়া নাজি যন্ত্রের আসল ধাক্কার অভিজ্ঞতা নিল। রক্তাক্ত এই যুদ্ধ ৩কোটি রুশিয়ানের জীবন নিয়েছিল।
প্রচণ্ড, দূর্দান্ত, ভয়ঙ্কর নাজি সেনা রুশিয়ার আরো অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং জ্বালিয়ে পুড়িয়ে সব ছাঁই বানিয়ে দিয়েছিল। চালিয়েছিল বিশ্ব ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর গণহত্যা। নাজিরা ছিল অকুতভয় দুর্ধর্ষ। তাদের অগ্রযাত্রায় বাঁধা দেয়ার কোন শক্তিই রুশিয়া দেখাতে পারেনি। সত্য কথা হলো ষ্টালিন ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। কারণ অবহেলা দেখিয়ে তার নির্দেশের কারণেই এমন ভয়ানক একটি অভিশাপকে আমন্ত্রণ করে এনেছেন। অবশেষে একটি বিশেষ বিমানে করে তিমুরের লাশ বহন করে নিয়ে সেই কবর মিনারের ভেতর পুরো ধর্মীয় নিয়মে রাখা হয়। কবর মিনারে লাশ ফেরৎ দেয়া হয়েছিল ১৯৪১ সালের ডিসেম্বরে।
কি বিস্ময়কর ঘটনা, লাশ ফেরৎ দেয়ার মাস খানেক পরই নাজি বাহিনী আত্মসমর্পন করে। ষ্টালিনগ্রাদ যুদ্ধে ষ্টালিন বিজয় অর্জন করেন। ২য় বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও ভয়ানক রক্তাক্ত যুদ্ধ হয়ে আজো ইতিহাসের পাতায় স্থান দখল করে আছে বিষ্ময়কর সে অভিশাপ ও রক্তাক্ত যুদ্ধের কাহিনী। সূত্র: টামারা মিত্রফানোভা, কোড়া, ২৬ মার্চ ২০২১ইং

ষ্টালিন। ছবি: টুইটার

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT