লন্ডন: বৃহস্পতিবার, ৯ই চৈত্র ১৪২৩।। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেশা মে হাউস অব কমন্স-এ বলেছেন, “ওয়েস্টমিন্স্টার সন্ত্রাসী হামলায় জখমপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন আইরিশ রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তিকরা আহতদের মধ্যে ১২জন ব্রাইটন, ৩জন ফ্রেন্স শিশু, ২জন রুমানিয়ান, ৪জন দক্ষিন কোরিয়ান, ১জন জার্মান, ১জন পোলিশ, ১জন চাইনিজ, ১জন ইটালিয়ান, ১জন আমেরিকান ও ২জন গ্রীক রয়েছেন। তিনি আরো বলেছেন আহতদের দেশগুলির সংশ্লিষ্টদের সাথে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।”
তিনি সন্ত্রাসী আক্রমণে নিহত পুলিশ কেইথ পামার-এর উদ্দেশ্যে বলেন-“কেইথ আমাদের বীর, তার কর্ম কোনকালেই ভুলার নয়।” “বৃটিশ সংসদ এই ঘোষণা দিচ্ছে যে, গতকাল এক সন্ত্রাসী আক্রমণ আমাদের সুদীর্ঘকালের ঐতিহ্যবাহী গণতন্ত্রকে স্তব্দ করে দিতে চেয়েছিল কিন্তু আজ আমরা সচরাচরের মত আবারো সমবেত হয়েছি যেমন আমাদের পূর্বপুরুষেরা করেছিলেন এবং পরবর্তী প্রজন্মও করে যাবে এই কথাটির ঘোষণা দিতে যে আমরা কখনও সন্ত্রাসের মুখে বিচলিত নই বলে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে যোগ করেন।”
বৃটিশ সংসদের সামনে ও ওয়েস্টমিন্স্টার সেতুতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পরের দিন প্রধানমন্ত্রী বৃটিশ সংসদে বক্তব্য রাখছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আক্রমণকারীকে পুলিশ ও এমআই৫ সনাক্ত করতে পেরেছে এবং অভিজ্ঞতা থেকে অনুমান সে ইসলামি সন্ত্রাসবাদ থেকে উৎসাহিত একজন।” বিবিসি বলেছে, আক্রমণকারী বৃটেনে জন্মগ্রহনকারী।
বৃটিশ সংসদের একেবারেই কাছে যেখানে সকালের দিকে বহু জাত ও সংস্কৃতির মানুষ একটি উৎসব পালনে সমবেত হয়েছিল, দু’খানা লম্বা চাকুহাতে এক সন্ত্রাসী, গাড়ী চালিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে নির্বিচারে চাকুদিয়ে আক্রমণ চালায়। একজন স্পেনীয় বংশোদ্ভুত শিক্ষক তার সন্তানকে স্কুল থেকে আনতে যাচ্ছিলেন। দুষ্ট সেই সন্ত্রাসীর আক্রমণে তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন। ঘটনাটি ঘটেছে গত কাল বুধবার বৃটিশ সংসদের একেবারেই কাছাকাছি। তার কিছু আগে নিকটস্ত ওয়েষ্টমিন্স্টার সেতুতে একই আক্রমণকারী তার গাড়ী তুলে দেয় ‘পেইভমেন্ট’এর উপর। ফলে, পঞ্চাশ বছর বয়সের একব্যক্তি মারা যান। পরমূহুর্তেই ওইব্যক্তি তার গাড়ী নিয়ে চলে আসে বৃটিশ সংসদের সামনে এবং চাকুদিয়ে পুলিশকে আক্রমণ করে। এ দু’টি সন্ত্রাসী ঘটনায় মোট ৪ব্যক্তি মারা গিয়েছেন।
৭জনকে পুলিশ এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছেন এমন কয়েকজন ইন্ডিপেন্ডন্টকে বলেছেন যে আক্রমণকারী পুলিশের ‘সেকেন্ড অফিসার’কে সংসদের কয়েকগজের মধ্যে আক্রমণ করে তখন বন্ধুকের আওয়াজ শোনা যায়।
একজন বৃটিশ এমপি বলেছেন যে আক্রমণ ঠেকানো যেতো যদি নিরাপত্তার দিক থেকে নাজুক এই জায়গাটি পুলিশের বেষ্টনীতে রাখা হতো।
আক্রমণকারী গাড়ী নিয়ে ঢুকে পড়ে কারণ ফটক খোলা ছিল।
সেতুর উপর গাড়ী নিয়ে আক্রমণের সময় এক মহিলা টেম্স নদীতে পড়ে যান পরে তাকে উদ্ধার করা হয়।
অনুমান ২.৪৫ মিনিটের সময় আক্রমণকারী পুলিশ গুলি করে হত্যা করে।