মুক্তকথা: ইউটিউব থেকে সংগৃহীত বনানী ধর্ষণ কান্ডের স্বকন্ঠে সতেজ বিবরণ। ঘটনাটি এভাবে তুলে ধরার উদ্দেশ্যমূলক কোন অভিপ্রায় আমাদের আদৌ নেই। ধর্ষণের সুর সুরি দিয়ে সংবাদ পাঠক বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এ পরিবেশন নয়। কেবলমাত্র আমাদের সামাজিক দায়ীত্ব আর সমাজ সচেতন মানুষের কাছে বিষয়টি মর্মান্তিকভাবে অনুভবনশীল বা প্রতিক্রিয়াশীল বিবেচনায় ইউটিউবে খোঁজে সংগ্রহ করেছি। আমাদের চেতনা আর অভিজ্ঞতা ওই বোধ থেকেই জাগ্রত হয়েছে যে সমাজে চলমান কোন কাজকে বিশেষ সে কাজ যদি হয় অপরাধমূলক তা’হলে ওই অপরাধকে সমূলে দমন করতে হলে সঠিক সময়ে হস্তক্ষেপ করতে হয়। ওখান থেকেই এসেছে আমাদের বোধ। সেই বোধের তাড়নায় বনানী ধর্ষণ কান্ডের এই পরিবেশনা।
জঙ্গি সন্ত্রাসবাদের মত ধর্ষণও বিশ্বব্যাপী এক সমাজ সংকট হয়ে উঠেছে ইদানিং। আমাদের ধারণা এই সংকট, মানুষের জানা-জানির কারণেই মূলতঃ তৈরী হয়েছে বা বিশ্বমানব সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে। ধর্ষণযে আগে কোন কালে হয়নি এমন নয়। আগেও হতো এবং হয়েছে কিন্তু সমাজ, নিয়মনীতি ও সমাজপতিরা তা কঠোর হাতে দমন করে গেছেন। সেসব কথা আগে জানা-জানি হতো কম। গণমাধ্যমের যুগে এখন জানাজানিটা তড়িৎ হয়ে যায়। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে অপরাধীরা স্বজনপ্রীতি আর অর্থের জোড়ে পাড় পেয়ে যায়। তাই এর বিস্তার হয়েছে খুবই তড়িৎগতিতে বিশ্বব্যাপী।
জঙ্গিসন্ত্রাসের পাশাপাশি ওই একই কারণে বাংলাদেশে ধর্ষণও ক্ষিপ্রগতিতে বেড়ে গিয়েছে। এখনই সময় সামাজিক ওই ক্যানসার ব্যাধির টুঁটি চেপে ধরা সন্ত্রাসী দমনের ন্যায়। আর সে কারণেই আমরা মনে করেছি বনানী ধর্ষণ কান্ডের সমূহ বিবরণ যাই সংগ্রহ করা যায় জনমানুষের সামনে পৌঁছে দেয়া খুবই প্রয়োজন।
আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থার সাথে অনেকটা মিল খায়, স্থানীয় একটি অনেক পুরানো প্রবাদ কথার। অতি পুরানো হলেও এখনও মাঝে মধ্যে কিছু কিছু মানুষের মুখে শুনি। প্রবাদ কথাটি আছে-
‘আ ঘাটে ঘাট অইচে
আ পথে পথ,
আমানু মানুষ অইচে
পশুর তাকি বদ।’