ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় টানা ১১ দিন ভয়াবহ হামলা চালানোর পর অবশেষে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরাইল ও ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর ফিলিস্তিনের সর্বত্র বিজয় মিছিল হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ২টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। গত ১০ মে থেকে গাজায় বোমা হামলা ও গোলাবর্ষণ করে ইসরাইল। এতে ২৩০ জন ফিলিস্তিনি প্রান হারান। নিহতদের মধ্যে ৬৫টি শিশুও রয়েছে। এদিকে হামাসের রকেট হামলায় ১২ ইসরাইলি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। সামরিক অভিযান বন্ধে ইসরাইল ও হামাস নেতাদের চাপ দিতে কাজ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিশর, কাতার ও বেশ ক’টি ইউরোপীয় দেশ। এদিকে গাজায় হামলা বন্ধের পাশাপাশি আল-আকসা মসজিদ ও শেখ জাররাহ এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ইসরাইল দিয়েছে এবং হামাসও যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করার শর্ত দিয়েছে। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধানের গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা তাহের আল-নুনু সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে ‘সলিডারিটি’র আয়োজনে আজও লণ্ডনে হয়ে গেলো প্রতিবাদ ও বিজয় মিছিল এবং সমাবেশ। আজ ২২মে শনিবার দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত চলে এ মিছিল ও সমাবেশ। লণ্ডনের ভিক্টোরিয়া এম্বাঙ্কমেন্ট থেকে হাইডপার্ক পর্যন্ত প্রায় ২.২ মাইল সড়ক পথে পরিক্রমন করে মিছিলকারীরা। তাদের মূল উচ্চারণ ছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা, গাজা অবরোধ তুলে নেয়া সহ ইসরাইলের সকল হত্যার বিচার। গণহত্যার দায়ে নেতনিয়াহু সরকারকে আইনের কাঠগড়ায় দাড় করানো। গত ১০মে সোমবার রাতে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলার শুরুও হয়েছিল। রোজার ভেতর জেরুজালেমে আল আকসা মসজিদ এবং আশপাশে ফিলিস্তিনিদের ওপর চাপিয়ে দেয়া বিভিন্ন বিধিনিষেধ প্রত্যাহার, কট্টরপন্থী ইহুদিদের উস্কানি বন্ধ এবং জেরুসালেমের শেখ জারা এলাকা থেকে ছয়টি ফিলিস্তিনি পরিবারকে উৎখাতের উদ্যোগ বন্ধের জন্য হামাস ইসরায়েল সরকারকে ১০ই মে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত শেষ সময় দেয়। ইসরায়েল তার জবাবে নানমুখী হামলা শুরু করেছিল। |