শ্রীমঙ্গলে পুজামন্ডপ পরিদর্শনে সিলেটের ডিআইজি
‘বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক উদার গনতন্ত্রের দেশ’
সৈয়দ ছায়েদ আহমদ, শ্রীমঙ্গল থেকে।। সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো.কামরুল আহসান বলেছেন,‘বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক উদার গনতন্ত্রের দেশ। আমরা সব কাজ একত্রে মিলেমিশে করি। এখানে কোন ধর্মীয় বিভেদ নেই, ধর্মের বাড়াবাড়ি নেই। ধর্ম পালনে কোন সমস্যাও নেই। কোন প্রতিরোধ বা বাধাবিঘœ নেই। যে যার মতো করে যার যার ধর্ম পালন করছে।
তিনি বলেন, দূর্গোৎসব হচ্ছে বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব। এর একটি অংশ হচ্ছে ধর্মীয় আর একটি অংশ হচ্ছে উৎসব। আমরা যে ধর্মেই বিশ্বাস করি না কেন, বাংলাদেশের মানুষের একটা অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সহনশীলতা। আমরা একে অন্যের মতের উপর শ্রদ্ধাশীল।
সোমবার রাত সাড়ে ১১টারদিকে শ্রীমঙ্গল শহরের রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমে পুজামন্ডপ পরিদর্শন করতে এসে শত শত ভক্তবৃন্দদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপাধ্যাক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি।
বাংলাদেশ পুজা উদ্যাপন পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক জহর তরফদারের স ালনায় বিশেষ অতিথিত বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, পুলিশ সুপার মো.ফারুক আহমেদ পিপিএম (বার), জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.মিছবাহুর রহমান,শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস ছালেক, রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সাধারন সম্পাদক দীপক ধর পুরকায়স্থ, বাংলাদেশ পুজা উদ্যাপন পরিষদ শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি স্বপন রায়, সাধারণ সম্পাদক সুশীল শীল, উপজেলা আয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আছকির মিয়া, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব সভাপতি বিশ্বজ্যোতি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এম ইদ্রিস আলী।
ডিআইজি কামরুল হাসান আরও বলেন,মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদ আমাদের দেশে মাঝে মাঝে ছোটখাটো দু’একটি কুচক্রীগ্রুপ মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। দু’একটি ঘটনা ঘটায়। আমরা এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছি। হয়তো নির্মুল করতে পারিনি,কিন্তু তারা নিয়ন্ত্রণে আছে। ভবিষ্যতে তারা কখনোই আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। তবে আমাদের সকলে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা যেনো এই ফেসবুক স্যোশাল মিডিয়া এগুলোর মধ্যে এমন কিছু বার্তা না ছড়াই,যাতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। মানুষ যাতে একজনের সাথে আরেকজনের ঝগড়া ফ্যাসাদে মেতে উঠে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই সিলেটের মানুষ শান্তিপ্রিয়। অত্যন্ত ধার্মিক। পরস্পরের প্রতি অত্যন্ত সহমর্মিতা ভালবাসার প্রকাশ ঘটায়। তাই সিলেটে এধরনের ঘটনা ঘটবে না।
|