মুক্তকথা সংবাদ।। হায়রে শিক্ষক! তাও আবার মাদ্রাসার শিক্ষক। যেখানে নীতি-নৈতিকতার শিক্ষা দেয়া হয় বলে দাবী করা হয়। দুঃসংবাদটি গণমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যম উভয় স্থানেই ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। ঘটনাটি নোয়াখালীর সোনাগাজীর একটি মাদ্রাসার। একজন মহিলা আলীম পরীক্ষার্থী ছাত্রীকে ভূঁয়া সংবাদ দিয়ে দালানের ছাদের উপর নিয়ে, গায়ে তেল ঢেলে দিয়ে আগুন দেয়া হয়। কোন কোন সংবাদে বলা হয়েছে কেরোসিন তেল আবার দু’একটায় প্রকাশ হয়েছে পেট্রোল বলে। সে পেট্রোল হোক আর কেরোসিন হোক, একজন মানুষের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। এটাই ঠিক। অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তিনি মানুষ সংগ্রহ করে এমন অমানবিক পৈশাচিক কর্ম ঘটিয়েছেন। খুবই দুঃখ ও লজ্জাজনক যে নিজের কন্যাসম ছাত্রীর সাথে একজন শিক্ষকের ধর্ষণাকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করতে না পারায় এমন নারকীয় পৈশাচিক ঘটনার জন্ম হয়েছে। এমন মর্মান্তিক, নারকীয় পৈশাচিক ঘটনার পর যেকোন সভ্য মানুষই ভাষা হারাতে বাধ্য। কি বলার থাকে!
পুলিশ বলেছে তারা বিশেষভাবে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। আসল দোষীকে তারা বের করবেই। পুলিশকে ধন্যবাদ তাদের উক্তির জন্য। এমন কথা না বলেও তারা পারতেন। কিন্তু বলেছেন এটা যদিও যথেষ্ট নয় তার পরও বলা যায় এটি একটি ভাল দিক। যদি পুলিশ ঠিক ঠিকই আন্তরিকভাবে কোন ধরনের প্রভাবিত না হয়ে ওই পশুকে ধরার কাজে মাঠে নামেন। সত্যসুন্দর মন নিয়ে তদন্তে নামলে পুলিশ অবশ্যই দোষী নরপশুকে হাতে নাতে ধরতে পারবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস।
এই নরপশুর হিতাহিতজ্ঞান শূণ্য পৈশাচিক ঘটনার বিষয়ে সাহিত্য রচনার ইচ্ছে আমাদের নেই। এ ঘটনাকে কোন ভাষায় প্রকাশ করলে সঠিক হবে ঠিক ভেবে পাচ্ছি না। এমন নারকীয় অপরাধের সাথে জড়িত একজন শিক্ষক তাও আবার মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। কি বলবো? কি রূপের বিচার চাইবো? একেবারে কোন কিছু না বলে শুধু একটি কথাই বলবো যে এই নরপশুদের না ধরা ও কঠিন সাজা না দেয়া পর্যন্ত আমরা নিজেদের সভ্য মানুষ বলে দাবী করতে পারবো না। নির্যাতিত ওই মেয়েটির চিকিৎসায় রাষ্ট্র ন্যায়সংগতভাবেই এগিয়ে আসবেন বলে আমরা আশা করতে পারি।
ওই ছাত্রী এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গেছে।