1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
সেতু হতে শুরু আর কত দূর, মনু নদী তোর - মুক্তকথা
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন

সেতু হতে শুরু আর কত দূর, মনু নদী তোর

হারুনূর রশীদ॥
  • প্রকাশকাল : শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১
  • ১৮৩৫ পড়া হয়েছে

হাজার হাজার কোটী টাকা ব্যয়ে যে দেশে পদ্মা সেতু হয়, লক্ষকোটী টাকা খরচ করে যেখানে মেট্রোরেল স্থাপনার কাজ চলে সেখানে ছোট্ট একটি পাহাড়ী নদীর উপর মামুলী একটি সেতু কিন্তু হয়ে উঠে না। এটিই মনে হয় প্রকৃতির নিয়ম। বটবৃক্ষের তলায় অন্য কোন ছোট বৃক্ষ জন্মাতে পারে না।
এ না হলে ছোট্ট ওই মৌলভীবাজার জেলা শহরের বুকের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মনু নদীর উপর ছোট্ট পায়ে হাটারও একটি সেতু নির্মিত হওয়ার কোন লক্ষনই আজো চোখে পড়েনি। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর হয়ে গেছে। ইতিহাসের সেই কাল থেকেই এই শহরের সকল শ্রেণীর মানুষজন এই সেতুটির জন্য কত নমুনায় কাঁন্না কাটি করে আসছেন ভাষায় সে রূপ দেয়া সম্ভব নয়।

কা’কে তারা ধরেন নি! যখনই যার কথা বলা হয়েছে, সেখানেই যাওয়া হয়েছে। যখন যা’কে পাওয়া গেছে তাকেই বিনয়-অনুরোধ করা হয়েছে। লিখিত, অলিখিত, মানপত্র দিয়ে অভ্যর্থনা, গলায় মালা দেয়া থেকে শুরু করে আদর-আপ্যায়ন, খাতির যত্নের কোন কমতি করা হয়নি। কিন্তু এর পরও সবই পাথর। এতোদিন পাথরের গায়ে হাত বুলিয়ে পুঁজো দিলে পাথর হয়তো কথা বলতো কিন্তু এই একটি সেতু নির্মাণের কাজে মৌলভীবাজারের মানুষের কপালে একমাত্র সময়ব্যয় ও হয়রানী  ছাড়া আর কিছুই জোটেনি।
এই সেতুটির জন্য গ্রাম-শহরের মানুষজন এককভাবে, আবার প্রয়োজনে সম্মিলিতভাবে মানববন্ধন থেকে শুরু করে, সভা, মিছিল, সম্বর্ধনা, মাল্যদান সবকিছুই করেছে কিন্তু উপর ওয়ালাদের টনক নড়েনি।

শহরের বুকচিরে বয়ে যাওয়া মনু নদীর ওপারে অতীব জনবহুল ছয়টি গ্রাম। এই মৌলভীবাজারের ইংরেজ আমলের নাম ছিল ‘দক্ষিণ সিলেট’। সেই দক্ষিণ সিলেটের জন্মেরও আগ থেকে শহর যখন এখানে গড়ে উঠে তখন থেকেই এই ছয় গাঁয়ের মানুষজন শহরের সকল কাজে গাছের লতার মত জড়িয়ে আছেন শতাব্দীকাল ধরে। এই বাজার বা শহরই তাদের সকল লেন-দেন, আশা-ভরসার উৎস। তাদের উত্তরসূরী শিশু-কিশোর-কিশোরীদের লেখা-পড়া থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য তথা জীবন-জীবীকা সবকিছুর অমৃত জল হলো এই মৌলভীবাজার শহর।

সময় বদলেছে। আয়েশি চিন্তা-ভাবনার দিন শেষ। আগের মত এখন আর হেলে-দুলে রাসবিহারী চাল-চলনে দশ মিনিটের পথ এক ঘন্টায় পাড়ি দিয়ে বাজারে এসে খদ্দেরের ফেলে যাওয়া আমের খোসাই শুধু পাওয়া যাবে। বাণিজ্য হবে না। সময়ের বাস্তব অবস্থার সে বোধোদয় থেকে স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকেই সাবিয়া, বলিয়ারভাগ, বালিকান্দি, গদাধর, মুরুজপুর আর ঢেউপাশা গ্রামের প্রায় বারো হাজার মানুষ উপোস করার মত নিবেদিত হয়ে বাজারের এখানে মনুনদীর উপর একখানা সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসছেন। কিন্তু কপালের মন্দ এতই যে আজ অবদি সবেধন নিলমণি আশ্বাস ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি।

এতো দেন-দরবারের পর এখন আমরা আশা করতে চাই যে, উপরের নির্দেশ হবে এবং জেলা পরিষদ কিংবা সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ অথবা জল ও নদীপথ বিভাগ একটি প্রাক্কলিত ব্যয়ের হিসেব ও সেতুর নমুনা তৈরী করে কেন্দ্রে পাঠাবেন এবং কেন্দ্র তা অনুমোদন করে একটি বলিষ্ট কার্যাদেশ দিয়ে সেতুর কাজ শুরু করে মানুষের দাবীর প্রতি একটু হলেও সন্মান প্রদর্শনে এগিয়ে আসবেন। সামনে তো নির্বাচন একটা আসবেই, সে অনুভুতি থেকেও না হয় কাজটা করে দিলে নির্বাচন বৈতরনী পাড় হওয়ার খাতে একটা বিরাট বিনিয়োগের কাজ দেবে বলেই আমাদর বিশ্বাস।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT