মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। মানুষতো মানুষেরই সহায়তায় এগিয়ে আসবে এটাই স্বাভাবিক। এটিই মানবিকতা। আর মানবিকতাই মানুষের শ্রেষ্ট গুণাবলীর অন্যতম। মানবিকতাই যদি না থাকে তা’হলে যেকোন প্রাণী হতে পারে, মানুষ নয়। তাইতো গুণীজন বলেছেন-“মানুষ ধরো, মানুষ ভজো…মানুষেরই তরে বেদ-বিধান”।
সময় তার পথে হাটে, মানুষ কাজ করে যায়। মানুষ থাকে না। বিদায় নেয়। কিন্তু রেখে যাওয়া কর্মই কালের অতল তলানিতে তলিয়ে যাওয়া নিস্প্রান মানুষকে স্মরণে রাখে অনন্ত সময়। এখানেই মানুষ অমৃতের সন্তান। মানুষ অমর!
তেমনধর্মী একটি কাজ করে দেখালেন মৌলভীবাজারের একজন তরুণ রাজনীতিক। টাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছেননা জেলার এক চা শ্রমিক সন্তান। সংবাদপত্রে এমন সংবাদ দেখে একজন শ্রমিকপুত্রের সাহায্যে এগিয়ে আসেন স্থানীয় এই মানবসেবী রাজনীতিক। চা শ্রমিকের সেই মেধাবী সন্তানকে খবর দিয়ে নিয়ে আসেন শহরে তার কার্যালয়ে। তার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এমন সেই মানুষটি আর কেউ নন, কৃতি মানবপ্রেমিক সেই মানুষটি হলেন মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।
কৃতি সেই রাজনীতিকের নিজের কথায়-“টাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছেননা চা শ্রমিক সন্তান” -‘পত্রিকায় এই সংবাদটি দেখে সাথে সাথে চা শ্রমিকের মেধাবী সন্তান সুজন রবিদাসের সাহায্যে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেই। আজ (শুক্রবার) পৌরসভা কার্যালয়ে সুজনকে আমন্ত্রণ জানাই। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ১৬ হাজার টাকা দিতে পারে ভালো লাগছে। আশা করছি এখন সে ভর্তি হতে পারবে। তাকে কিছু কাপড়ও উপহার দিয়ে দিলাম। আমাদের পিছিয়ে পড়া সমাজের মানুষজন এগিয়ে যাক, সে প্রত্যাশা করি। এই চা-বাগানেও অনেক মেধাবী সন্তান আছে। মেধা-দক্ষতা-যোগ্যতায় বদলে দিক তাদের বর্তমান অবস্থা।’
‘আমাদের মেধাবী সন্তানেরা টাকার জন্য লেখাপড়া করতে পারবেনা, এটা হতে পারেনা। পিছিয়ে পড়া সমাজের মানুষকে এগিয়ে নিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’