গরুর ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় কমলগঞ্জে এক যুবতির মৃত্যু। আহত হয়েছে ৪জন আর পুলিশ গ্রেফতার করেছে ২জনকে। মাত্র ১৮ বছরে পা দিয়েছিল আয়েশা আক্তার। ইতিমধ্যে বিয়ের বিষয়টিও পাকাপাকি হয়ে গিয়েছিল। আগামী ১৩জুলাই বুধবার তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কত সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্নের দিনগুলো হৃদয় আয়নায় দেখছিল আয়েশা! কিন্তু স্বার্থ অন্ধ মানুষ আয়েশাকে বিয়ের পিড়িতে বসতে দিলো না। বিয়ের স্বপ্নকে খান খান করে দিয়ে চিরতরে জীবনের ওপারে পাঠিয়ে দিল তাকেই। কি এমন অপরাধ করেছিল যে তাকে নির্মমভাবে হাসপাতালে জীবন দিতে হলো। জানা যায়, তাদের গরু প্রতিবেশী সিরাজ মিয়ার ধান খেয়েছিল। নির্মম মারামারির এ ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছতিয়া গ্রামে। ওই গ্রামের জহুর মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়ার ক্ষেতের ধান খেয়েছিল প্রতিবেশী আজাদ মিয়ার বাড়ীর গরু। মামুলি এ ঘটনাকে নিয়ে গত ৯জুলাই বিকেলে সিরাজমিয়া, রিয়াজ মিয়া, সামাদ মিয়া, আলমাছ মিয়া ও সালাতুন বেগম দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে আয়েশা আক্তারদের উপর হামলা চালায়। আর এ অমানবিক হামলায় আয়েশা আক্তার, মা কনিজা বেগম, জুবেদা বেগম ও সালেহা বেগম গুরুতর আহত হন। গ্রামবাসী আহত নারীদের উদ্ধার করে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তাদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তবে আশংকাজনক অবস্থায় আয়েশা বেগমকে রাতেই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা জয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে আয়েশার মৃত্যু হয়। আয়েশার পরিবার সদস্যরা জানান বুধবার আয়েশার বিয়ে ছিল একই গ্রামের সালাউদ্দিন সুমনের সাথে। মঙ্গলবার রাতে তার গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানও ছিল। সোমবার এ হামলার ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। কমলগঞ্জ থানার পুলিশ, সিরাজ মিয়া ও সামাদ মিয়াকে সোমবার আটক করেছে। মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক বিজয় প্রসাদ রায় হামলা ও এক যুবতির মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ মামলায় সিরাজ ও সামাদ নামে ২ জনকে আটক করে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। |