বরেণ্য কলামিস্ট, লেখক ও সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই। গাফফার চৌধুরীর জন্ম হয়েছিল বরিশালের উলানিয়া গ্রামের সুপরিচিত চৌধুরীবাড়িতে। ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ক্ষণজ্ন্মা এ সাংবাদিকের জন্ম হয়েছিল। তিনি লন্ডনের এজোয়ারের মেথুইন রোডের ৫৬নম্বর বাড়িতে থাকতেন। ছাত্রজীবনেই গাফফার চৌধুরীর লেখালেখির শুরু হয়েছিল। ১৯৪৯ সালে মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন সম্পাদিত মাসিক সওগাত পত্রিকায় তার গল্প প্রকাশিত হয়। ১৯৫২ সালে তার প্রথম উপন্যাস ‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’ প্রকাশিত হয়েছিল। ১৯৫৬ সালে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকে যোগ দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী কলমযোদ্ধার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। জয় বাংলা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বর্ষীয়ান এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। |
আব্দুল গাফফার চৌধুরীর মত্যুতে জাসদের শোকজাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি আজ ১৯মে ২০২২ বৃহস্পতিবার এক শোকবার্তায় কলামিস্ট, সাংবাদিক, লেখক, আব্দুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও স্বজনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।তারা বলেন, আব্দুল গাফফার চৌধুরী জ্ঞান ও প্রজ্ঞা তার কলম থেকে উৎসারিত হয়ে বাঙালি জাতির প্রতিটি ক্রান্তিকালে জনগণ পথের দিশা দিয়েছে। তারা বলেন, সাহসী ও প্রজ্ঞাময় লেখনির জন্য, জাতির ক্রান্তিকালে সত্য উচ্চারণের মধ্য দিয়ে জাতির ধমনিতে সাহসের সঞ্চার করার জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের পক্ষ থেকে নেতৃবৃন্দ প্রয়াত আব্দুল গাফফার চৌধুরীর প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। |