কাউয়াদিঘী হাওরে পানি বাড়ায় দুই উপজেলার প্রায় দেড় হাজার হেক্টর আমন চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেবিদ্যুত ভোগান্তিতে কাশিমপুর পাম্প হাউজ প্রায় বন্ধ থাকায় মৌলভীবাজারের কাউয়াদীঘি হাওরের প্রায় দেড় হাজার হেক্টর রোপা আমন চাষাবাদ ব্যাহত হতে পারে এবার। হাওর পাড় ঘুরে দেখা যায়, প্রতিনিয়ত বৃষ্টিপাতের কারণে ও পাহাড়ি এলাকার ছড়া থেকে পানি এসে কাউদীঘি হাওরে গিয়ে জমা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত পানি বাড়তে থাকায় ফুলে উঠছে কাউয়াদীঘি। এতে করে হাওর পাড়ের মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার কৃষি অংশ তলিয়ে যাচ্ছে। ফলে কৃষকদের আবাদী জমি ও ধানের চারা নষ্ট হচ্ছে। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোপা আমন চাষাবাদ করতে আর মাত্র ১৫দিন হাতে আছে কৃষকদের। সরেজমিনে গেলে রাজনগর উপজেলার কাউয়াদীঘি হাওর সংলগ্ন ফতেপুর ইউনিয়নের শাহাপুর গ্রামের কৃষক মিছবাহ উজ্জামান বলেন, তার ৬ কিয়ার প্রস্তুতকৃত রোপা আমন জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত জমির আবাদ করতে তার ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে ধানের চারা রোপণ করতে পারছেন না। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড এর (যান্ত্রিক বিভাগ) নির্বাহি প্রকৌশলী এমএ হান্নান সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, সামপ্রতিক সময়ের সাথে আমাদের এখানে বিদ্যুৎ কম থাকায় পিডিবি বিভাগ আমাদের দিনের বেলা ২টা মেশিন চালু করার মত বিদ্যুৎ দিয়ে থাকেন। আবার রাত ৯টার পর থেকে পুরো ৮টি মেশিন আমরা চালাতে পারি। কৃষকেদের ক্ষয়ক্ষতির কথা বিবেচনা করে আমরা তাদের কাছ থেকে আরো বিদ্যুৎ আনার চেষ্ঠা করছি। মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন সোমবার বিকেল ৩টায় জানান, বিদ্যুতের ব্যাপক ঘাটতি থাকার কারণে এবার কাশিমপুর পাম্প হাউজ দিয়ে পানি নিস্কাশন করা সম্ভব হচ্ছেনা। কি পরিমান জমি তলিয়ে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কৃষিবিদ জানান, এবার জমি কতটুকু আবাদ হবে তার পর বলা যাবে। তিনি আরো বলেন, দুই উপজেলা জুড়ে হাওরের কৃষি অংশে দেড় হাজার হেক্টর আবাদী জমি রয়েছে। |