মৌলভীবাজার অফিস।। বৃহস্পতিবার, ২৬শে মাঘ ১৪২৩।। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় সাধারণ মানুষকে বুড়ি আঙ্গুল দেখিয়ে ড্রেজার মেশিন দিয়ে লাখ লাখ টাকার বালু উত্তোলন করেছে জনৈক আশরাফ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের যুগিকোনা গ্রামের কুশিয়ারা নদী থেকে এক সপ্তাহ ধরে বালি উত্তোলন করা হয়। গ্রামের সহজ-সরল মানুষ বিষয়টি আন্দাজ করতে না পারায় ওই বালু খেকো প্রায় ২৫টি নৌকা ভর্তি বালি উঠিয়ে উজান ও ভাটি অঞ্চলে পাচার করে। এই বালু তোলার কারণে যুগিকোনা,সুরিখাল,কেশরপাড়া,সুনামপুরসহ নদী পাড়ের প্রায় ৩শ পরিবার নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়বে। যুগিকোনা গ্রামের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্র পিকুল দাশ বলেন,নদী ভেঙ্গে বালু তোলা আইনত অপরাধ। এক সপ্তাহ ধরে প্রায় ২৫টি নৌকা বুঝাই করে বালু পাচার করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মজনুর রহমান বলেন, কেশরপাড়া ও যুগিকোনা গ্রাম জুড়ে ১৫/২০ বছর ধরে নদীতে চড় দেখা দিয়েছে। ওই চড়ে চষে বেড়িয়ে প্রায় ১ হাজার জেলে নদীতে মাছ ধরে। যুগিকোনার অনেক পরিবার ওই চড়ে কৃষি ক্ষেত করে। এভাবে বালু উত্তোলন করা হলে চড় চিরদিনের জন্য বিলীন হয়ে যাবে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ইউপি সদস্য মজনুর রহমানকে অবহিত করে স্থানীয় ইন্দেশ্বর তহশিল অফিসে অভিযোগ দেন। এবং পরে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের কাছে ওই বালু খেকোর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। খবর পেয়ে ইন্দেশ্বর তহশিল অফিসার জামাল উদ্দিন ওই এলাকার কেশরপাড়া মৌজার জেএল নং-১৬ এর ১২১৭ নং সরকারি খাস দাগে গিয়ে ৫ হাজার ঘনফুট বালু, বালি উত্তোলনের ড্রেজার মিশিন ও একটি বড় ইঞ্জিন চালিত নৌকাসহ ৬শ ফুট প্লাষ্টিকের পাইপ জব্দ করে ইউপি সদস্যের জিম্মায় রেখে দেন। রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, কুশিয়ারা নদীতে তারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বিষয়টি সঠিক। তারা বালু উত্তোলনের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু কাগজ পত্র দেখিয়েছে। কিন্তু সেই কাগজের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে। ড্রেজার মিশিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদী স্থানীয় ইউনিয়ন সদস্যের মাধ্যমে জব্দ রাখা হয়েছে।