মুক্তকথা সংবাদ।। কুশিয়ারা নদী ভাগ করেছে রাজনগর উপজেলাকে বালাগঞ্জ উপজেলা থেকে। রাজনগর উপজেলার সাথে বালাগঞ্জ সদর শহরের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম খেয়া নৌকা। রাজনগর উপজেলা এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি বিন্দুতে এই খেয়া পাড়াপারের ব্যবস্থা রয়েছে। অবশ্য এ দুই উপজেলার যোগাযোগ কোন কালেই উন্নত নমুনার ছিল না বটে, তবে অতীতে যোগাযোগকারী মানুষের সংখ্যাও ছিল হাতে গোনা। কালের পরিক্রমায় মানুষে বেড়ে যাওয়ায় এখন এই খেয়া নৌকার পাড়াপার সবদিক থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বর্তমানের প্রয়োজন কুশিয়ারার উপর একটি আধুনিক নক্সার শক্তিশালী সেতু নির্মাণ করে রাজনগরের সাথে বালাগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা।
রাজনগরের খেয়াঘাট বাজার এলাকায় কুশিয়ারা তীরে যে খেয়াপাড়াপারের ব্যবস্থা রয়েছে তা’ এতোই সেকেলে যে জননিরাপত্ত্বা বলতে এখানে কিছুই নাই। জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে মানুষজন এ খেয়া দিয়ে পাড়াপার হয়ে থাকেন। প্রতিদিন এ ঘাট দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। মেঘের মৌসুম এলেই এখানে ঘটে নানা দুর্ঘটনা বলতে গেলে প্রতিনিয়ত। দুই উপজেলার সকল মানুষের প্রধান দাবি কুশিয়ারা নদীতে সেতু নির্মাণ। স্বাধীনতার ৪৮বছর পরেও যদি দুই উপজেলার মানুষের যোগাযোগের জন্য একটি সেতু নির্মাণ না হয় তা’হলে এ দুই এলাকার কয়েক লক্ষ মানুষের কাছে উন্নয়নের কোন মূল্যই থাকে না।
স্থানীয় বিজ্ঞ মহলের মতে, একটি মজবুত আধুনিক সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত খেয়া পাড়াপারকে অত্যাধুনিক করে ঝুঁকি কমাতে হবে। এ লক্ষ্যে প্রথমতঃ যারা খেয়াঘাটের বন্দোবস্ত নেবেন তারা স্থানীয় সরকার হোন আর কোন ব্যক্তি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হোক, তাদের অবশ্যই অত্যাধুনিক সময়ের সকল প্রকার ঝুঁকি প্রতিহতকরণ প্রক্রিয়া লিখিতভাবে দেখাইয়া খেয়াপাড়াপারের ব্যবস্থা করতে হবে। এরপরও পাড়াপারে কোন দূর্ঘটনা ঘটলে পাড়াপারকারী প্রতিষ্ঠানকে তার দায়ভার বহন করতে লিখিত প্রতিশ্রুতিতে থাকতে হবে। খেয়া নৌকাকে অত্যাধুনিক নৌকার আদলে পুনর্গঠিত করে নদীতে ভাসাতে হবে। খেয়া নৌকায় জীবন রক্ষাকারী জ্যাকেট, চাকতি প্রভৃতি মওজুদ থাকতে হবে। নদীর উভয় তীরে চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখতে হবে। অত্যাধুনিক এই যুগে এখনও আমরা পিছিয়ে থাকবো সেই প্রাচীনযুগের মত, এটি হবে সময়ের বিপরীত কাজ।