>ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কথিত অভিযোগে লাঞ্ছনার শিকার বন্দরের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা ঘুষ গ্রহণ মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্তের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে ম্যাজিস্ট্রেট জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সোহেল আলম জানান, শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে বুধবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। বিকেলে তিনি একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এর মাত্র ৪ ঘণ্টা আগে দুপুর ১২টায় একই আদালত শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ মামলাটি আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। একই স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগম গত বছরের ২৪ জুলাই আদালতে শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে তাকে এমপিও ভুক্ত করে দেবার কথা বলে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তা তদন্ত করার জন্য বন্দর থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।
বন্দর থানার ওসি (তদন্ত) হারুন অর রশিদ ঘটনা তদন্ত করে গত ১৮ এপ্রিল ঘুষ গ্রহণের সত্যতা পেয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে ৩ জনকে সাক্ষী এবং একজনকে নিরপেক্ষ স্বাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে। বুধবার মামলার ধার্য তারিখে ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত বছরের ১৩ মে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কথিত অভিযোগে স্থানীয় সাংসদ একেএম সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবস করানো হয়। ওই ঘটনা সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেলে দেশ জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। ইত্তেফাকের খবর।