মৌলভীবাজার সংবাদদাতা।। শমশেরনগর-চাতলাপুর চেকপোস্ট সড়ক। শমশেরনগর থেকে জেলা সদরের ২০ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশই খানাখন্দকে ভরপুর। সড়কের শতাধিক স্থানে পিচ উঠে ছোট-বড় অনেক গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে ভরা এ সড়ক যানবাহন চলাচলের প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এমন অবর্ণনীয় দুর্দশায় যাওয়ার পরও দেখার যেনো কেউ নেই।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে এই সড়কের উন্নয়ন কাজ গত বছরের শেষ দিকে একনেক এর বৈঠকে চুড়ান্ত অনুমোদন পায়। কিন্তু কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত রাস্তাটির টেন্ডার হয়নি।
মৌলভীবাজারের ৪টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের লাখ খানেকের মত মানুষের চলাচলের এটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অগণিত শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ মৌলভীবাজার জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটিতে সংস্কার কাজ না হওয়ায় শুধু যান চলাচলের অনুপযোগীই নয় চলাচল রীতিমত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বাস্তবে এ সড়কের প্রায় শ’দুয়েক স্থানে পিচ উঠে গর্তে ভরপুর হয়ে গেছে। ফলে রাস্তা দিয়ে গন্তব্যস্থলে যেতে নিয়মের তুলনায় সময় লাগছে অনেক বেশী। সবচেয়ে বেশী সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের। এছাড়াও চাতলাপুর চেকপোস্ট দিয়ে অনেক পর্যটককে এ রাস্তা ব্যবহার করে ভারতে যেতে হয়। চাতলাপুর চেকপোস্ট ও শমশেরনগর থেকে মৌলভীবাজার জেলা সদরে যাতায়াত এবং মালামাল পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে বর্তমানে চলাচলই ভয়ানক ঝুঁকির মুখে।
মৌলভীবাজার জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের জন্য চার উপজেলার ১৪/১৫টি ইউনিয়নের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করছেন। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হওয়ায় কয়েক লক্ষাধিক মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভেগ। সিএনজি অটোরিক্সায় চলাচল করলে শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা লাগে। বিশেষ করে রোগী ও গর্ভবর্তী মহিলাদের জন্য এই রাস্তাটি ব্যবহার করা অধিক ঝঁকিপূর্ণ। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে জনসাধারণের চলাচলে পুরোপুরি অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
এই সড়কে চলাচলকারী যানবাহনকে প্রায়ই ওয়ার্কশপে যেতে দেখা যায়। এমন অভিযোগ আছে এ সড়কে চলাচলকারী প্রতিটি যানবাহন চালকদের। সড়কটি এতোই ঝুঁকিপূর্ণ যে, যেকোন সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এ রাস্তা ব্যবহারকারী একজন জানান, রাস্তাটি দুইটি সংসদীয় এলাকায় বিভক্ত রয়েছে। দুটি আসনেই শক্তিশালী দুজন সংসদ সদস্য বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও জেলার গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটির বেহাল দশার কারণ বুঝা মুষ্কিল।
গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল আলম বলেছেন, তিনি কিছুদিন পূর্বে রাস্তাটি পরিদর্শন করেছেন। সম্প্রতি ঢাকা থেকে উচ্চ পর্যায়ের একদল বিশেষজ্ঞ এসে রাস্তাটি জরিপ করে গেছে। তিনি আশা করেন এ দফায় কিছু একটা ভাল কাজ হবে।