বলা যায়, দেশের চামড়া শিল্পে এক নতুন বিপ্লবের সূচনা হবে। এমনই এক প্রস্তাবনা রেখেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাঙ্গালী উদ্যোক্তা মামুন চৌধুরী। ৫০ লাখেরও বেশী চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরার ক্ষমতাসম্পন্ন এবং শতভাগ রপ্তানীযোগ্য বিশ্বমানের একটি চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপনের প্রস্তাবনা দিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যেই প্রকল্পের প্রস্তাবনা BIDA & BEZA চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরীর নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন লন্ডন ট্র্যাডিশনের কর্ণধার এই মামুন চৌধুরী। জানা গেছে, বাস্তবায়িত হলে এটিই হবে সারা এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ ও অত্যাধুনিক চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা।
চামড়া বাংলাদেশের অন্যতম একটি অর্থকরী সম্পদ। কিন্তু এ চামড়া নিয়ে অনেক তেলেসমাতি হয়। কোরবানির ঈদের সময় সিন্ডিকেটের কারনে মাটিতে পুতে ফেলা ও নদীতে চামড়া ভাসিয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে আমাদের এই বাংলাদেশে। তবে এবার মনে হয় অবস্থার পরিবর্তন হবে। সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার কৃতি সন্তান লন্ডন প্রবাসী মামুন চৌধুরীর এই উদ্যোগ এমন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।
![]() মামুন চৌধুরী |
বছরে ৫ মিলিয়নেরও বেশি চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার সক্ষমতা সম্পন্ন এই শতভাগ রফতানিযোগ্য প্লান্ট বাংলাদেশের চামড়া শিল্পকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেবে বলে তার নিজের প্রত্যাশা। জানা যায়, গত সাত বছর ধরে তিনি এ প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। এ প্রজেক্ট বাস্তবায় করতে পারলে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পোন্নয়নে নতুন এক দিগন্তের সূচনা করবে বলে আশাবাদী তিনি।
গত দু’দিন আগে মামুন চৌধুরী নিজের ফেইসবুকের একটি পোস্টে উল্লেখ করেন, হবিগঞ্জসহ বৃহত্তর সিলেটে বিশ্বমানের, এশিয়ার সর্ববৃহৎ ও অত্যাধুনিক লেদার প্রসেসিং প্লান্ট প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমি BIDA & BEZA চেয়ারম্যান জনাব আশিক চৌধুরীর নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাবনা পেশ করলাম।
বছরে ৫ মিলিয়নেরও বেশি চামড়া প্রক্রিয়াজাত করার সক্ষমতা সম্পন্ন এই শতভাগ রফতানিযোগ্য প্লান্ট বাংলাদেশের চামড়া শিল্পকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত সাত বছর ধরে আমরা এ প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলাম কিন্তু কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার অভাবে সম্ভব হয়নি। এ প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে পারলে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পোন্নয়নে নতুন এক দিগন্তের সূচনা করবে।