মুক্তকথা সংগ্রহ।। দুনিয়ার বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পাঠদান কর্মসূচী ‘অনলাইন’-এ চালু করতে শুরু করেছে। প্রাচ্য-পাশ্চাত্য সবদেশেই কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এ ব্যবস্থায় পাঠদানকাজ শুরু করেছে। বাংলাদেশেও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কিছু কিছু পাঠদান ‘অনলাইনে’ শুরু করে দিয়েছে। এখানেই শেষ নয়, জেলা শহর মৌলভীবাজারেও কিছু কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় তাদের পাঠদান ‘অনলাইন’-এ নিয়ে আসায় প্রয়াসী হয়েছে।
এক্ষেত্রে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সর্বাগ্রেই মনে হয় ব্যবস্থা নিয়েছে। ফলে, বহু অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে নতুবা বহিষ্কার করে দেয়া হবে যে ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসন দিয়েছিল, তা পাল্টানো হয়েছে। খুব শক্তভাবে জানিয়ে দেয়া ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। গত সোমবার দেশটির ইমিগ্রেশন এবং শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থা ঘোষণা দিয়েছিল, বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে হবে নতুবা তাদের জোরপূর্বক বহিষ্কার করে দেয়া হবে, যদি তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইন ভিত্তিক পাঠদান চালু করে। দু’দিন পরেই গত ১৪ই জুলাই সরকার মত পরিবর্তন করে নিয়েছে। এখন আর কোন ছাত্রকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে না।
হার্ভার্ডসহ আমেরিকার বহু বিশ্ববিদ্যালয় এরই মধ্যে তাদের বিভিন্ন পাঠকর্মসূচী অনলাইনে নেওয়ার ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিয়েছে। ইতিপূর্বে এক বিবৃতিতে মাইগ্রেশন এবং শুল্ক প্রয়োগকারী সংস্থা প্রথম প্রথম জানিয়েছিল, এফ–১ এবং এম–১ ভিসাধারী শিক্ষার্থীরা যারা এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন তাদের ‘অবশ্যই এদেশ ত্যাগ করতে হবে অথবা অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই নিয়ম অমান্য করলে পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে সংস্থার তরফে হুমকি দেয়ার মত করে বলা হয়েছিল। কিন্তু অবস্থা এখন পুরোপুরি পাল্টে গেছে একটি মামলার পর। ‘ম্যাসাচ্যুয়েট্স ইন্সস্টিটিউট অব টেকনোলজি’ এবং হার্ভার্ড বিশ্ব বিদ্যালয় সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা বসিয়ে দিয়েছিল। ফলে আদালত বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের ‘ছাত্র ভিসায়’ থাকার সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বিশাল অংকের আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকে প্রতি বছর। অবশেষে দেশটির নতুন এই আইনে হাজারো বিদেশি শিক্ষার্থী বিপাকে পড়তে পারেন বলে সিএনএন’সহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। আর প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে ইতোমধ্যেই দেশটির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইন ভিত্তিক পাঠ দানের সিধান্ত নিয়েছে। এমতাবস্থায় ট্রাম্প সরকারের এ সিদ্ধান্ত ছিল নতুন করে শিক্ষা কার্য্যক্রমের পরিপন্থি। অবশেষে আমেরিকার আমলাতন্ত্রের চোখে আঙ্গুল দিয়ে হুকুম দিয়ে আদালতকে বুঝিয়ে দিতে হলো। সূত্র:বিবিসি