মৌলভীবাজার শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে বুধবার রাতে একই পেটের জোড়া শিশুর জন্ম হয়েছে। দুজনের পেট একত্রে জোড়া লাগানো। তবে তাদের হাত, পা, মুখ ও মাথা সহ অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আলাদা। তারা দু’জনই মেয়ে সন্তান। জন্মের পর থেকে শিশু দুটি স্বাভাবিক রয়েছে।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ডাক্তার ফারজানা হক পর্ণা ও এনেসথেসিষ্ট ডাক্তার বি এস এম এরশাদ ১ ঘন্টা চেষ্টার ফলে সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা দুটির জন্ম হয়।
হাসপাতাল থেকে জানা যায়, জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সিঙ্গরাউলি গ্রামের জুয়েল মিয়া ও তাকলিমা দম্পতির ঘরে বুধবার রাত ১০টায় একই পেটের জোড়া কন্যা শিশুর জন্ম হয়। জন্মের পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এম এ হক তাদের দেখে ঢাকায় গিয়ে উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দেন।
জানা যায়, জুয়েল আহমদ পেশায় একজন পান দোকানদার। কমলগঞ্জ উপজেলার শমসেরনগর বাজারে তার একটি পান দোকান রয়েছে। এ দোকানের সামান্য আয় দিয়েই তার পরিবার চলে। জুয়েল আহমদের পরিবারে তার এক বোন ও ৫ বছরের আরেকটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
জুয়েল আহমদ বলেন, স্থানীয় চিকিৎসকরা বলছেন ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে শিশু দুটি আলাদা করা সম্ভব। তবে তাড়াতাড়ি করতে হবে। এতে বড় অংকের টাকাও ব্যয় হবে। তার স্বল্প আয় দিয়ে এ ব্যয় বহন করা কোনো অবস্থাতেই সম্ভব নয়। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, রাজনীতিবীদ, ব্যবসায়ী, প্রবাসী ও সমাজের বিত্তশালীদের সহযোগীতা চান।
প্রাইভেট হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ শামীম আলম বলেন, আল্ট্রাসনোগ্রাম করে দেখতে হবে বাচ্চা দুটির হাড এবং পাকস্থলি আলাদা কি না। এগুলো আলাদা হলে অস্ত্রোপাচার করে তাদের পৃথক করা সম্ভব। তবে যত দ্রুত সম্ভব জাতীয় শিশু হাসপাতালে গিয়ে বিশেষজ্ঞদের সহযোগীতা নিলে বাচ্চাদের জন্য ভালো হয়। বড় হলে তাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে কষ্ট হবে।
|