চান মিয়া।।
ছাতক সুনামগঞ্জ
ছাতকে জলাবদ্ধতায় জুনিয়ার হাওরের সহস্রাধিক একর বোরো জমি অনাবাদী থাকার আশংকা দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ খুরমা ও চরমহল্লা ইউনিয়নের শস্যভান্ডার খ্যাত জুনিয়ার হাওরে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্ঠি হয়েছে। ঘানিউরা নদী থেকে হাওরের পানি নিস্কাশনের নালাটি এখন পলি মাটিতে ভরাট হওয়ায় এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, ২০১৮সলের শুরু থেকে উপজেলার দু’টি ইউনিয়নের জুনিয়ার হাওরে ধনপুর, রাউতপুর, চেচান, বাউর, হরিশ্বরন, হাতধলানী ও টেটিয়ারচর, শাখারুচর, পুরাকাটি ও জালালীচর গ্রামের ৮শতাধিক কৃষক এ হাওরে চাষাবাদ করে আসছেন। প্রায় ৭বছর থেকে হাওরে পানি নিস্কাশনের একমাত্র নালা পলি মাটিতে ভরাট হওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে হাওরে চরম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ফসল উৎপাদন কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ায় কৃষকরা অনাহারে বসবাস করছে।
কৃষকরা উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে খাল খননের জন্যে বরাদ্ধের আবেদন করলেও কৃষি অফিস তাদেরে কোন সহযোগিতা করেনি। এব্যাপারে ২০১৭সালের ৬ডিসেম্বর এলাকাবাসীর পক্ষে হাজি আনা মিয়া, ইখতিয়ার উদ্দিন ও জুয়েল আহমদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এখন হাওরের কৃষি জমিতে ৫থেকে ৬ফুট পানি রয়েছে বলে কৃষক জানান। শীঘ্রই খাল খনন না করলে জলাবদ্ধতায় হাওরের সব বোরো জমি অনাবাদি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।